ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে? তজুমুদ্দিন উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের সহযোগী সামিয়া গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা বকশীগঞ্জে বহাল তবিয়তে স্বৈরাচারের দোসর সোহানুর রহমান: জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের ডাক বৈঠক শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আমির খসরু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা সরকার আইসিটি খাতের টেকসই ভিত্তি গড়তে কাজ করছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করল ইরান শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

ট্রাম্পের জয়ে বিটকয়েনের মূল্যে রেকর্ড ৮০,০০০ ডলার

ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশাল জয়ের পর রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যেই সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং কংগ্রেসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন আবহে বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড ৮০,০০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্য এ বছরে ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোও লাভের মুখ দেখছে। বিশেষ করে ডোজকয়েন। যা নিয়ে ট্রাম্প সমর্থক ইলন মাস্ক প্রচারণা চালিয়েছেন।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদের ব্যবস্থা করবেন এবং ক্রিপ্টো-বান্ধব আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের নিয়োগ দেবেন। যা ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর থেকে নিয়ম-নীতি শিথিল করার প্রত্যাশা তৈরি করেছে।

ট্রাম্পের মতে, তার প্রশাসনের প্রথম কাজ হবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) বর্তমান চেয়ারম্যান গ্যারি জেনসলারকে বরখাস্ত করা। যিনি জো বাইডেনের অধীনে ২০২১ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর কঠোর নীতি আরোপ করেছেন।

এ বিষয়ে স্টোনএক্স ফিন্যান্সিয়ালের বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যদি ক্রিপ্টোকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে, তাহলে এ ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’

যা বিটকয়েনের মূল্যকে ১০০,০০০ ডলার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

তবে সিম্পসন এ নিয়ে সতর্ক করে বলেন যে, ‘ক্রিপ্টো বাজারে বড় ধরনের পতনের ঝুঁকিও থেকে যাবে। যা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে’।

ট্রাম্পের সামগ্রিক পরিকল্পনা মূলত আমেরিকান জনগণের ওপর থেকে কর কমানো এবং তাদের ব্যবসায় নিয়ম-নীতি সহজ করার কথা বলে। যা নির্বাচনের পর অন্যান্য বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি এনেছে।

রিপাবলিকানদের হাতে কার্যত কংগ্রেসের দুই কক্ষের নিয়ন্ত্রণ থাকায়, তারা ট্রাম্পের এসব নীতিমালা মার্কিন পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে সক্ষম হবে।

সূত্র: বিবিসি

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে?

ট্রাম্পের জয়ে বিটকয়েনের মূল্যে রেকর্ড ৮০,০০০ ডলার

আপডেট সময় : ০৭:৫১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশাল জয়ের পর রিপাবলিকানরা ইতোমধ্যেই সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং কংগ্রেসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন আবহে বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড ৮০,০০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের মূল্য এ বছরে ৮০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোও লাভের মুখ দেখছে। বিশেষ করে ডোজকয়েন। যা নিয়ে ট্রাম্প সমর্থক ইলন মাস্ক প্রচারণা চালিয়েছেন।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদের ব্যবস্থা করবেন এবং ক্রিপ্টো-বান্ধব আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের নিয়োগ দেবেন। যা ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর থেকে নিয়ম-নীতি শিথিল করার প্রত্যাশা তৈরি করেছে।

ট্রাম্পের মতে, তার প্রশাসনের প্রথম কাজ হবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) বর্তমান চেয়ারম্যান গ্যারি জেনসলারকে বরখাস্ত করা। যিনি জো বাইডেনের অধীনে ২০২১ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর কঠোর নীতি আরোপ করেছেন।

এ বিষয়ে স্টোনএক্স ফিন্যান্সিয়ালের বাজার বিশ্লেষক ম্যাট সিম্পসন বলছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন যদি ক্রিপ্টোকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে, তাহলে এ ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’

যা বিটকয়েনের মূল্যকে ১০০,০০০ ডলার পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।

তবে সিম্পসন এ নিয়ে সতর্ক করে বলেন যে, ‘ক্রিপ্টো বাজারে বড় ধরনের পতনের ঝুঁকিও থেকে যাবে। যা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে’।

ট্রাম্পের সামগ্রিক পরিকল্পনা মূলত আমেরিকান জনগণের ওপর থেকে কর কমানো এবং তাদের ব্যবসায় নিয়ম-নীতি সহজ করার কথা বলে। যা নির্বাচনের পর অন্যান্য বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি এনেছে।

রিপাবলিকানদের হাতে কার্যত কংগ্রেসের দুই কক্ষের নিয়ন্ত্রণ থাকায়, তারা ট্রাম্পের এসব নীতিমালা মার্কিন পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে সক্ষম হবে।

সূত্র: বিবিসি

কেকে