ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু ঢাকা আলিয়ায় আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও দিকনির্দেশনার অনন্য আয়োজন তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে : আমীর খসরু শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে : ডা. জাহিদ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির : প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ ইউআইইউর ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলাম, এখন আশ্বস্ত হয়েছি : মির্জা ফখরুল

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের ২০ বছরের কারাদণ্ড

ছবিঃ সংগৃহীত

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টলেডোকে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘুষের অভিযোগে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেজান্দ্রো টোলেডোকে সর্বশেষ লাতিন আমেরিকান নেতা যিনি ওডেব্রেখ্ট নির্মাণ সংস্থা দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে কারাগারে বন্দি হয়েছেন। এ মামলায় তাকে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

টলেডোকে একটি ফ্রিওয়ে নির্মাণ চুক্তির বিনিময়ে ব্রাজিলের নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সোমবার তাকে এ মামলায় ২০ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ক্যানসারে আক্রান্ত পেরুর সাবেক এ প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে এক শুনানিত বলেন, আমি প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে চায়। আমি আপনাদের অনুরোধ কর,ছি দয়া করে আমাকে ভালো হতে দিন বা বাড়িতে মারা যেতে দিন।

আন্দিয়ান জাতির ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ নেতা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মহাদেশজুড়ে রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ওডেব্রেখ্টের ঘুষের প্রচারণার জন্য এখনও পর্যন্ত দেওয়া কঠোরতম শাস্তিগুলোর মধ্যে একটি পেয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ এ বিচার প্রক্রিয়াকালে টলেডো ক্রমাগতভাবে মানি লন্ডারিং এবং যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। পেরু প্রত্যর্পণের অনুরোধ করার পরে ২০১৯ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর প্রত্যর্পণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আইনি বিতর্কের পরে ২০২২ সালে সেখানে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

ওডেব্রেখ্ট-সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির কারণে পেরু, পানামা এবং ইকুয়েডরের কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গুয়াতেমালা এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। পরে কোম্পানিটি তাদের নাম পরিবর্তন করে নভোনর করেছে।

২০১৯ সালে পেরুতে ১৪ জন শীর্ষ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ফার্মটিকে পাবলিক ওয়ার্কস চুক্তিতে অগ্রাধিকারমূলক আচরণের অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের ২০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ১১:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো টলেডোকে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘুষের অভিযোগে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেজান্দ্রো টোলেডোকে সর্বশেষ লাতিন আমেরিকান নেতা যিনি ওডেব্রেখ্ট নির্মাণ সংস্থা দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে কারাগারে বন্দি হয়েছেন। এ মামলায় তাকে ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

টলেডোকে একটি ফ্রিওয়ে নির্মাণ চুক্তির বিনিময়ে ব্রাজিলের নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সোমবার তাকে এ মামলায় ২০ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ক্যানসারে আক্রান্ত পেরুর সাবেক এ প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে এক শুনানিত বলেন, আমি প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে চায়। আমি আপনাদের অনুরোধ কর,ছি দয়া করে আমাকে ভালো হতে দিন বা বাড়িতে মারা যেতে দিন।

আন্দিয়ান জাতির ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এ নেতা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মহাদেশজুড়ে রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ওডেব্রেখ্টের ঘুষের প্রচারণার জন্য এখনও পর্যন্ত দেওয়া কঠোরতম শাস্তিগুলোর মধ্যে একটি পেয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ এ বিচার প্রক্রিয়াকালে টলেডো ক্রমাগতভাবে মানি লন্ডারিং এবং যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। পেরু প্রত্যর্পণের অনুরোধ করার পরে ২০১৯ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর প্রত্যর্পণ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে আইনি বিতর্কের পরে ২০২২ সালে সেখানে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

ওডেব্রেখ্ট-সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির কারণে পেরু, পানামা এবং ইকুয়েডরের কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গুয়াতেমালা এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হয়েছে। পরে কোম্পানিটি তাদের নাম পরিবর্তন করে নভোনর করেছে।

২০১৯ সালে পেরুতে ১৪ জন শীর্ষ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ফার্মটিকে পাবলিক ওয়ার্কস চুক্তিতে অগ্রাধিকারমূলক আচরণের অভিযুক্ত করা হয়েছিল।