মোঃ আব্দুল হালিম,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
তাহিরপুরে এসএসসি পরীক্ষা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। ওই শিক্ষার্থী আহত হয়ে তাহিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একদিন পর বাড়ি ফিরেছেন।
বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাবা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের বাসিন্দা জবর আলীর ছেলে সরাফত আলী (২৭), হরমুজ আলীর ছেলে রবি মিয়া (২৩), আব্দুল আলীর ছেলে মারফত আলী (২২), জবর আলীর ছেলে সালমান (২০) ও আব্দুল আলী (২৪) বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই ওই শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং ও উত্যক্ত করতো।
১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল থামিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় ওই শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মোটরসাইকেল চালক সুজন মিয়া বাঁধা দেওয়ায় তার উপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে আশপাশের সকলকে জানালে ও মামলা করলে, ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছে বখাটে সরাফত আলীর আত্মীয় স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বড় ভাই জানান, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায়ই সরাফত আলী কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের সালিশ ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। তবুও কোনো কাজ হয় নি। মঙ্গলবার পরীক্ষা থেকে সরাফত আলী সঙ্গীদের নিয়ে আমার বোনকে মারধর করে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মির্জা রিয়াদ হাসান বলেন, চিকিৎসা দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল তার পরীক্ষা রয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেলন, এবিষয়ে বুধবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএস