দলের বর্ধিত সভা আহ্বান করেছে বিএনপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সভার স্থান এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই বর্ধিত সভা বাস্তবায়নে রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬টি উপকমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন কমিটিতে খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, মাহবুবের রহমান শামীম, সৈয়দ শাহীন শওকত, আসাদুল হাবিব দুলু, জি কে গউছ, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. রফিকুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হককে সদস্য করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক করে ব্যবস্থাপনা কমিটি; হাবিব উন-নবী খান সোহেলকে আহ্বায়ক ও মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীকে সদস্য করে অভ্যর্থনা কমিটি; এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে আহ্বায়ক করে আপ্যায়ন কমিটি; সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আহ্বায়ক করে শৃঙ্খলা কমিটি; ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলকে আহ্বায়ক করে মিডিয়া কমিটি এবং ডা. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে চিকিৎসা সেবা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী জানান, বর্ধিত সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব; উপজেলা, থানা ও পৌর বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া দলের প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। তবে এদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ দলের নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যেই বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই সভায় নেতাদের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকা এবং বিএনপির পতাকাতলে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর দুদকের একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বেগম জিয়া। তবে বিএনপির দাবি ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বেগম জিয়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির হাবিব উন-নবী খান সোহেল, অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, সৈয়দ শাহীন শওকত, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, আসাদুল করিম শাহীন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে