ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ‘অখণ্ড ভারত’-এ আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি

ছবি : সংগৃহীত

আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনার আয়োজন করছে ভারত। সেখানে অংশ নিতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নামও। খবর এনডিভির।

সব ধরনের মতপার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পাশাপাশি ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালও সেমিনারের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছে।

উপমহাদেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ অবশ্য সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি। বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এমনটাই জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সকল দেশের কর্মকর্তারা এই উদযাপনের অংশ হোন। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে অবদান রেখেছে। এই বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ১৫০ রুপির একটি বিশেষ এবং সীমিত সংস্করণের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে ‘অখণ্ড ভারত’ শব্দগুচ্ছ উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ বিতর্কিত। কারণ ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যে সংগঠনের ভাবশিষ্য, সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অন্যতম মূল মতাদর্শ হচ্ছে এই ‘অখণ্ড ভারত’।

সে ধারণা অনুযায়ী, একসময় ভারতবর্ষের ব্যাপ্তি ছিল পশ্চিমে আফগানিস্তান থেকে পূর্বে মিয়ানমার ও উত্তরে তিব্বত থেকে দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

তাই এমন শিরোনামের একটি সেমিনারে বাংলাদেশ অংশ নেবে কিনা বা আদৌ অংশ নেওয়া উচিৎ হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশকে ‘অখণ্ড ভারত’-এ আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনার আয়োজন করছে ভারত। সেখানে অংশ নিতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নামও। খবর এনডিভির।

সব ধরনের মতপার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পাশাপাশি ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালও সেমিনারের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছে।

উপমহাদেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ অবশ্য সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি। বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এমনটাই জানিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সকল দেশের কর্মকর্তারা এই উদযাপনের অংশ হোন। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে অবদান রেখেছে। এই বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ১৫০ রুপির একটি বিশেষ এবং সীমিত সংস্করণের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে ‘অখণ্ড ভারত’ শব্দগুচ্ছ উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ বিতর্কিত। কারণ ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) যে সংগঠনের ভাবশিষ্য, সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অন্যতম মূল মতাদর্শ হচ্ছে এই ‘অখণ্ড ভারত’।

সে ধারণা অনুযায়ী, একসময় ভারতবর্ষের ব্যাপ্তি ছিল পশ্চিমে আফগানিস্তান থেকে পূর্বে মিয়ানমার ও উত্তরে তিব্বত থেকে দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।

তাই এমন শিরোনামের একটি সেমিনারে বাংলাদেশ অংশ নেবে কিনা বা আদৌ অংশ নেওয়া উচিৎ হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কেকে