ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইআবি ডিগ্রির স্বীকৃতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত: পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা ইনডাকশন পদ্ধতিতে কমবে সিজারিয়ান সেকশন : প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীদের পিএসসির জরুরি নির্দেশনা কিছু দল পণ করেছে, পিআর না দিলে নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক : জামায়াত একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বান প্রতীকী মূল্যে কাউকে সরকারি সম্পত্তি দেওয়া হবে না : অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : চীন রাষ্ট্রদূত ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ কোনো পক্ষবিরোধী জোট নয় : চীন রাষ্ট্রদূত সংস্কার গভীর না হলে আবারও স্বৈরাচার ফেরত আসবে : প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক : জামায়াত

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই সনদের খসড়াকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারকে দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাবকে বিপজ্জনক বলেও মনে করে দলটি।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ বিষয়ে বলেন, এটি অসম্পূর্ণ এবং কিছু অংশ বিপজ্জনক। আজ তারা বলছে, এটা একটা নমুনামাত্র, ভুল হয়েছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে মন্তব্যের দরকার নেই। তবে যদি সেটাই মূল কথা হয়, তাহলে একে গ্রহণ করা যাবে না।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২১ দিনের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াত একটি খসড়া সনদ তৈরি করছে এবং তা কমিশনে জমা দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংলাপে যেসব বিষয়ে একমত হচ্ছি, সেগুলো বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রস্তাব করে বলেন, দুটি পথ—১. অধ্যাদেশের মাধ্যমে একটি আইনি কাঠামো গঠন করে পরে নির্বাচিত সংসদে তা অনুমোদন; ২. গণভোটের মাধ্যমে জনগণের চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া।

তারা যেকোনো একটি পদ্ধতিতে এই কাঠামোকে আইনি বৈধতা দিতে চান জানিয়ে বলেন, তারা ঐকমত্যের পক্ষে, কিন্তু সেটা হতে হবে কার্যকর এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে। অন্যথায় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ‘অনিশ্চয়তার দিকে’ চলে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তাহের বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে, এখানে প্রায় সবাই একমত, একমাত্র বিএনপি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

তাহের জানান, প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠিত হবে—প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। তারা ১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্য থেকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা যদি একমত হতে না পারেন, তাহলে প্রথমে সর্বসম্মতভাবে, পরবর্তীকালে ওয়ান চয়েস ভোট, তারপর প্রয়োজনে র‍্যাঙ্ক চয়েস ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এই পদ্ধতিতে ভোটার হবেন মোট সাতজন—ওপরে উল্লিখিত পাঁচ সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একজন করে বিচারপতি।

তাহের বলেন, বিচারপতি দুজন যুক্ত করা হয়েছে যেন এককভাবে তৃতীয় দল বা অন্য কেউ ডিসাইডিং ফ্যাক্টর না হয়ে যায়। আমরা আশা করি, বিচারপতিরা নিরপেক্ষ থাকবেন এবং হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কা কমবে।

তাহের জানান, বিএনপির আপত্তি মূলত এই যে যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো হোক। তবে জামায়াতসহ অধিকাংশ দল মনে করে, সংসদে পাঠালে তা আর সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না।

জামায়াত নেতা বলেন, সংসদে পাঁচ-ছয়টা দল আছে, অথচ এই বডিতে ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইআবি ডিগ্রির স্বীকৃতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত: পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা

জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক : জামায়াত

আপডেট সময় : ০৯:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

জুলাই সনদের খসড়াকে অসম্পূর্ণ বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকারকে দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রস্তাবকে বিপজ্জনক বলেও মনে করে দলটি।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ বিষয়ে বলেন, এটি অসম্পূর্ণ এবং কিছু অংশ বিপজ্জনক। আজ তারা বলছে, এটা একটা নমুনামাত্র, ভুল হয়েছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে মন্তব্যের দরকার নেই। তবে যদি সেটাই মূল কথা হয়, তাহলে একে গ্রহণ করা যাবে না।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২১ দিনের সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

জামায়াত একটি খসড়া সনদ তৈরি করছে এবং তা কমিশনে জমা দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংলাপে যেসব বিষয়ে একমত হচ্ছি, সেগুলো বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রস্তাব করে বলেন, দুটি পথ—১. অধ্যাদেশের মাধ্যমে একটি আইনি কাঠামো গঠন করে পরে নির্বাচিত সংসদে তা অনুমোদন; ২. গণভোটের মাধ্যমে জনগণের চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া।

তারা যেকোনো একটি পদ্ধতিতে এই কাঠামোকে আইনি বৈধতা দিতে চান জানিয়ে বলেন, তারা ঐকমত্যের পক্ষে, কিন্তু সেটা হতে হবে কার্যকর এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে। অন্যথায় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ‘অনিশ্চয়তার দিকে’ চলে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তাহের বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে, এখানে প্রায় সবাই একমত, একমাত্র বিএনপি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

তাহের জানান, প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠিত হবে—প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। তারা ১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্য থেকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা যদি একমত হতে না পারেন, তাহলে প্রথমে সর্বসম্মতভাবে, পরবর্তীকালে ওয়ান চয়েস ভোট, তারপর প্রয়োজনে র‍্যাঙ্ক চয়েস ভোটিং পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। এই পদ্ধতিতে ভোটার হবেন মোট সাতজন—ওপরে উল্লিখিত পাঁচ সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একজন করে বিচারপতি।

তাহের বলেন, বিচারপতি দুজন যুক্ত করা হয়েছে যেন এককভাবে তৃতীয় দল বা অন্য কেউ ডিসাইডিং ফ্যাক্টর না হয়ে যায়। আমরা আশা করি, বিচারপতিরা নিরপেক্ষ থাকবেন এবং হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কা কমবে।

তাহের জানান, বিএনপির আপত্তি মূলত এই যে যদি ঐকমত্য না হয়, তাহলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো হোক। তবে জামায়াতসহ অধিকাংশ দল মনে করে, সংসদে পাঠালে তা আর সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে না।

জামায়াত নেতা বলেন, সংসদে পাঁচ-ছয়টা দল আছে, অথচ এই বডিতে ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

কেকে