ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউআইইউর ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২২ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২১ জুন) রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।

ইউআইইউ জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মোস্তাসির বিল্লাহ কালবেলাকে জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আশা করছি ছাত্ররা এবার ক্লাসে ফিরে আসবেন। এরপর কেউ আন্দোলন করলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।

এর আগে সকালে ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। তারা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি।

আন্দোলনকারীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিত। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।

আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হলো- ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে সব বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে; বহিষ্কারের সাথে জড়িত সকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা; ইউআইউ-তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিকর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউআইইউর ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২২ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২১ জুন) রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।

ইউআইইউ জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবু সাদাত মোস্তাসির বিল্লাহ কালবেলাকে জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আশা করছি ছাত্ররা এবার ক্লাসে ফিরে আসবেন। এরপর কেউ আন্দোলন করলে তার দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।

এর আগে সকালে ৫ দফা দাবিতে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং তাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। তারা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইউআইইউ রিফর্ম আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘নানা নাটকীয়তা ও বিলম্বের’ মধ্যেও ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ধরনা দিলেও কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি।

আন্দোলনকারীদের একজন লাবিব মুহান্নাদ জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৫ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। ইউনাইটেড গ্রুপ আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে টাকা দিত। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়। পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।

আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হলো- ইউআইইউ কর্তৃক অন্যায়ভাবে সব বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কার প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে; বহিষ্কারের সাথে জড়িত সকল ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা; ইউআইউ-তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিকর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল।

কেকে