দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা এখনো তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প এমন এক দুর্যোগ- যা কোনো পূর্বাভাস না দিয়ে আসে। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার ঢাকায় বিয়াম মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে মোকাবিলা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা ও সমন্বয় অপরিহার্য। তিনি বলেন, নিয়মিত মহড়া ও জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে আমাদের আরও জোর দিতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, জনসংখ্যার অতিমাত্রায় ঘনত্ব, শহরে জনসংখ্যার চাপ, ভৌগলিক অবস্থান ও বাস্তবতা ইত্যাদি বিবেচনায় যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় জান মালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসের সঙ্গে জড়িত সব সংস্থাকে বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা গ্ৰহণ করতে হবে। ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোডের যথাযথ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউনুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশস্থ ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারান্তে বক্তৃতা করেন।
‘শহরভিক্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ভূমিকম্পের প্রস্তুতি’-এর ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. রাকিবুল আহসান।
কেকে