ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কাঁচা আমের যে তিন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত

কাঁচা আম। ছবি : সংগৃহীত

গোটা গ্রীষ্মজুড়ে আমের কদর। কিন্তু খোসার স্থান ময়লা ফেলার বালতিতে। এদিকে অনেকে জানেনই না, কেবল আম নয়, খোসাও এক ধরনের খাদ্যবস্তু। যদিও কেউ কেউ আমের খোসা ব্যবহার করে ত্বকচর্চা করে থাকেন।

কিন্তু আমের খোসা পেটে পুরে নেওয়ার ব্যাপারে ধোঁয়াশায় বেশিরভাগ মানুষই— তা খাওয়া আদৌ নিরাপদ কিনা?

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের খোসার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা—

১. আমের খোসায় রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার। তাই হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য পারে আমাকের খোসা।

২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে প্রদাহনাশক এবং ত্বকে ও স্বাস্থ্যে চট করে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।

৩. আমের খোসায় থাকা ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন ই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

৪. আমের খোসার নির্যাস নাকি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।

তবে কাঁচা আমে কামড় বসানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত—

গঠন ও স্বাদ

আমের খোসা মোটা এবং সামান্য তেতো হয়। কোন ধরনের আম, তার ওপর নির্ভর করে— খোসা আঠালো হবে কিনা। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু অনেকেই খোসা চিবিয়ে খেতে রাজি নন।

অ্যালার্জি

আমের খোসার মধ্যে থাকা যৌগগুলো অনেক সময়ে অ্যালার্জির সৃষ্টি তৈরি করতে পারে। আমের খোসা ছাড়ানোর সময় যদি দেখেন, আপনার চুলকানি হচ্ছে হাতে, তাহলে সেই আমের খোসা না খাওয়াই ভালো।

কীটনাশকের উপস্থিতি

বাজারজাত করার জন্য চাষ করা আমগুলোর ত্বকে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। যদি আপনি খোসা খেতে চান, তাহলে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক— কীভাবে খাবেন আমের খোসা চাটনি?

১. আমের খোসার চাটনি

উপকরণ: ২টি পাকা আমের খোসা, ১টি কাঁচালংকা, ১ টেবিল চামচ নারিকেল কোরা, এক চিমটে আদাবাটা, স্বাদমতো লেবুর রস এবং পরিমাণমতো লবণ।

প্রণালি: সবগুলো একসঙ্গে মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঢেলে ভালো করে বেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমের খোসার চাটনি। চাইলে গোটা সরষে এবং কারিপাতার ফোড়ন দিতে পারেন।

কেকে

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজনীতিকে অপছন্দ করা মানুষরাই দেশ চালাচ্ছে: মান্না

কাঁচা আমের যে তিন বিষয় খেয়াল রাখা উচিত

আপডেট সময় : ০৯:১০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

গোটা গ্রীষ্মজুড়ে আমের কদর। কিন্তু খোসার স্থান ময়লা ফেলার বালতিতে। এদিকে অনেকে জানেনই না, কেবল আম নয়, খোসাও এক ধরনের খাদ্যবস্তু। যদিও কেউ কেউ আমের খোসা ব্যবহার করে ত্বকচর্চা করে থাকেন।

কিন্তু আমের খোসা পেটে পুরে নেওয়ার ব্যাপারে ধোঁয়াশায় বেশিরভাগ মানুষই— তা খাওয়া আদৌ নিরাপদ কিনা?

চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের খোসার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা—

১. আমের খোসায় রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার। তাই হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য পারে আমাকের খোসা।

২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ বলে প্রদাহনাশক এবং ত্বকে ও স্বাস্থ্যে চট করে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।

৩. আমের খোসায় থাকা ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন ই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

৪. আমের খোসার নির্যাস নাকি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।

তবে কাঁচা আমে কামড় বসানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত—

গঠন ও স্বাদ

আমের খোসা মোটা এবং সামান্য তেতো হয়। কোন ধরনের আম, তার ওপর নির্ভর করে— খোসা আঠালো হবে কিনা। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কিন্তু অনেকেই খোসা চিবিয়ে খেতে রাজি নন।

অ্যালার্জি

আমের খোসার মধ্যে থাকা যৌগগুলো অনেক সময়ে অ্যালার্জির সৃষ্টি তৈরি করতে পারে। আমের খোসা ছাড়ানোর সময় যদি দেখেন, আপনার চুলকানি হচ্ছে হাতে, তাহলে সেই আমের খোসা না খাওয়াই ভালো।

কীটনাশকের উপস্থিতি

বাজারজাত করার জন্য চাষ করা আমগুলোর ত্বকে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। যদি আপনি খোসা খেতে চান, তাহলে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক— কীভাবে খাবেন আমের খোসা চাটনি?

১. আমের খোসার চাটনি

উপকরণ: ২টি পাকা আমের খোসা, ১টি কাঁচালংকা, ১ টেবিল চামচ নারিকেল কোরা, এক চিমটে আদাবাটা, স্বাদমতো লেবুর রস এবং পরিমাণমতো লবণ।

প্রণালি: সবগুলো একসঙ্গে মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঢেলে ভালো করে বেটে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমের খোসার চাটনি। চাইলে গোটা সরষে এবং কারিপাতার ফোড়ন দিতে পারেন।

কেকে