বেড়েই চলছে গরম। রোদের তাপও বাড়ছে, আবহাওয়াও শুষ্ক হতে চলছে। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি যেদিকে নজর রাখা উচিত তা হচ্ছে ডি হাইড্রেশন আটকানো। পানি খেয়ে সব সময় আবার তৃষ্ণা মেটানোও যায় না। সেক্ষেত্রে পানির বিকল্প হতে পারে বেলের শরবত।
নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পানীয় শুধু তৃষ্ণাই মেটাবে না। সঙ্গে ত্বক ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনে। বেলে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। সুস্বাস্থ্যের জন্য বেল খাওয়া জরুরি। বেলে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
হাইড্রেশন
বেলের রসে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এটি শরীরে পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
হজমে সহায়তা
অতিরিক্ত তাপ হজমকে ধীর করে দিতে পারে এবং বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেলের শরবতে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
শরীরকে ঠান্ডা রাখে
বেলের শরবতে শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের তাপ ভেতর থেকে কমাতে সাহায্য করতে পারে। যার ফল গ্রীষ্মের দিনের জন্য এটি একটি আদর্শ পানীয়।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
বেলের রস কেবল হাইড্রেটিংই নয়, অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ভিটামিন এ সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। বেলের রসে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কিছু রোগের ঝুঁকি কমায়।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
বেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। এটি তাপ এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা ত্বকের সমস্যাগুলো কমাতে পারে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পারে।
সতর্কতা
বেল শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। বেল খাওয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া গরমের সময় ঠান্ডাজনিত সমস্যার কথা মাথায় রেখে ফ্রিজের পানিতে তৈরি শরবত খাওয়া উচিত।
কেকে