ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?

যেসব খাবারে মিটবে আয়রনের ঘাটতি

ছবি: সংগৃহীত

শরীরের জন্য আয়রন একটি অপরিহার্য খনিজ যা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আয়রনের প্রধান কাজ হচ্ছে লোহিত রক্তকণিকার একটি অংশ হিসেবে সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করা। শরীর যে পরিমাণ আয়রন শোষণ করে তা আংশিকভাবে কতটা সঞ্চয় করেছেন তার উপর ভিত্তি করে।

আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উপাদানটির ঘাটতি থাকলে চোখ-মুখ ফ্যাঁকাসে হয়ে যায়। ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যায় ক্লান্তি। কিছু খাবার রয়েছে যা আয়রনের ঘাটতি পূরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বেদানা: আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস বেদানা। ১০০ গ্রাম বেদানায় প্রায় ০.৩১ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এই ফলে আরও রয়েছে ভিটামিন সি, যা দেহে আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

ডাল: ১০০ গ্রাম ডালে প্রায় ৭.৪ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। মুগ, মসুর, বিউলি, কড়াই, রাজমা—যেকোনো ধরনের ডালে আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও ডালে আছে ফাইবার ও প্রোটিনের মতো উপকারি উপাদান।

কাজুবাদাম: আয়রনের ঘাটতি মেটাতে কাজুবাদাম খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কাজুতে প্রায় ৬.৭ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এছাড়াও এই বাদামে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। মধ্য দুপুর কিংবা বিকেলের নাশতায় এক মুঠ কাজুবাদাম রাখতে পারেন।

পালংশাক: আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস পালংশাক। এক কাপ সেদ্ধ পালংশাকে প্রায় ৩.৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিতে ভরপুর পালংশাক।

আয়রনের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে—

শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ডেফিশিয়েন্সির নানা লক্ষণ রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে শরীর। ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে মুখে-চোখে। কোষে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ার কারণে অল্পেই হাঁপ ধরে। সঙ্গে রয়েছে মাথাব্যথা। ত্বকে ফুটে ওঠে রুক্ষতা। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে ওঠে। কমবেশি এই ধরনের লক্ষণগুলি শরীরে নিয়মিত দেখা দিলে বুঝতে হবে, এ নেহাতই কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি নয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করাতে হবে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা।

কেকে

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

যেসব খাবারে মিটবে আয়রনের ঘাটতি

আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

শরীরের জন্য আয়রন একটি অপরিহার্য খনিজ যা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আয়রনের প্রধান কাজ হচ্ছে লোহিত রক্তকণিকার একটি অংশ হিসেবে সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করা। শরীর যে পরিমাণ আয়রন শোষণ করে তা আংশিকভাবে কতটা সঞ্চয় করেছেন তার উপর ভিত্তি করে।

আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। উপাদানটির ঘাটতি থাকলে চোখ-মুখ ফ্যাঁকাসে হয়ে যায়। ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যায় ক্লান্তি। কিছু খাবার রয়েছে যা আয়রনের ঘাটতি পূরণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বেদানা: আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস বেদানা। ১০০ গ্রাম বেদানায় প্রায় ০.৩১ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এই ফলে আরও রয়েছে ভিটামিন সি, যা দেহে আয়রন শোষণে সাহায্য করে।

ডাল: ১০০ গ্রাম ডালে প্রায় ৭.৪ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। মুগ, মসুর, বিউলি, কড়াই, রাজমা—যেকোনো ধরনের ডালে আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও ডালে আছে ফাইবার ও প্রোটিনের মতো উপকারি উপাদান।

কাজুবাদাম: আয়রনের ঘাটতি মেটাতে কাজুবাদাম খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম কাজুতে প্রায় ৬.৭ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে। এছাড়াও এই বাদামে অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। মধ্য দুপুর কিংবা বিকেলের নাশতায় এক মুঠ কাজুবাদাম রাখতে পারেন।

পালংশাক: আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস পালংশাক। এক কাপ সেদ্ধ পালংশাকে প্রায় ৩.৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিতে ভরপুর পালংশাক।

আয়রনের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে—

শারীরিক ক্লান্তি ছাড়াও আয়রন ডেফিশিয়েন্সির নানা লক্ষণ রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে শরীর। ফ্যাকাশে ভাব ছড়িয়ে পড়ে মুখে-চোখে। কোষে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ার কারণে অল্পেই হাঁপ ধরে। সঙ্গে রয়েছে মাথাব্যথা। ত্বকে ফুটে ওঠে রুক্ষতা। গুরুতর ঘাটতি হলে ঠোঁট, জিভ ফুলে ওঠে। কমবেশি এই ধরনের লক্ষণগুলি শরীরে নিয়মিত দেখা দিলে বুঝতে হবে, এ নেহাতই কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি নয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করাতে হবে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা।

কেকে