কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা রামঘাটে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জমি সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন বাহার চাপ প্রয়োগ করে নিয়েছেন বলে দাবি কুমিল্লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুলের।
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা তার লিখে দেয়ার এখতিয়াই নেই। তারপরও চাপ দিয়ে দানপত্র দলিল করে নেওয়া হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গা দান করার ক্ষমতা রাখেন না। সে সময় তিনি কমান্ডারের দায়িত্বও ছিলেন না। ভয়ে তাকে এ কাজ করতে হয়েছে।
সাবেক কমান্ডার বাবুল আরও নিয়ম এবং আইন অনুযায়ী এ দলিল গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জায়গার বৈধ মালিক কুমিল্লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৮ হাজার ৪১৩ নম্বর দলিল মূলে কুমিল্লা শহরের রামঘাটস্থ ১০ শতক ভূমি সাবেক কমান্ডার শফিউল আহেমদ বাবুল দান করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারকে দলিল দাতা হিসেবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমিল্লা জেলা কমান্ডার শফিউল আহমেদ বাবুলের নাম রয়েছে। এই দশ শতক ভূমিতে সাবেক এমপি বাহার ৯ম তলা একটি ভবন নির্মান করেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রবল আপত্তির পর ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর এটি ভাচুয়ালি উদ্ভোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জুলাইয়ের গণ আন্দোলন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনরোগের শিকার ঐ বির্তকিত কার্যালয় ভবন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পত্তি উদ্বারের দাবিতে কুমিল্লা প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেখানে দাবি করা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল এক কোটি ৪৮ লাখ টাকার ঐ ১০ শতক ভূমি সাবেক এমপি বাহারকে লিখে দেন। যদিও ঐ দলিলে এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা পরিশোধযোগ্য নয় বলে উল্লেখ্য আছে। এরই প্রেক্ষিতে সাবেক কমান্ডার বাবুল একটি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছে গণমাধ্যমে। তিনি দাবি করেন কোনো টাকা নেননি। ভয়ে দান করে দিয়েছেন এমপি বাহারকে।
এমএস