ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিম শরীরের মেদ কমাতে পান করুণ ডিটক্স ওয়াটার জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের দাপট রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার বিপদ কেটে গেলে মানুষ অহংকারী হয়ে যায় : নুরুল হক শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নাটোরে শিশু জুঁই হত্যার দায়ে ৫ কিশোর গ্রেফতার বাংলাদের অভ্যন্তরে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা চলছে- নাটোরে রুহুল কবির রিজভী র‍্যাবের-১২ এর অভিযানে ভেড়ামারা থেকে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

বাংলাদের অভ্যন্তরে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা চলছে- নাটোরে রুহুল কবির রিজভী

ছবি : সংগৃহীত

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধিঃ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আমরা এখন ভয়ংকর সময় অতিক্রম করছি । কেননা আমরা একটি দুঃস্বপ্নের পর শান্তি ও স্বস্তির মধ্যে থাকতে চেয়েছি। কিন্তু এখন নানা ভাবে অর্ন্তঘাত সৃষ্টি করা, নানা ভাবে বিভিন্ন দুর্যোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা ষড়যন্ত্র করার প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশকে আবার তাদের কবজায় নিতে বহু ধরনের খেলাধুলা চলছে। এব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর আয়োজিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরি স্বপন।

সেমিনারে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহ মোঃ শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন, সেই সাথে একটি ভালো সরকারও চেয়েছেন। দেশের মানুষ একটি অর্ন্তবর্তী সরকার পেয়েছেন। এ সরকারের দায়িত্ব একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। কেননা দেশে অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন জাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সেই জাদুঘর থেকে জীবন্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই বিশ্বাস দেশের মানুষ ডক্টর ইউনুস সাহেবের উপর রেখেছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ বলা হয়। তাহলে এটি সরকারের দৃঢ় সংকল্প বা অঙ্গীকার, যেটির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে সেটা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন করলে যে দল ক্ষমতায় আসবে, তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে তাদের তো পার্লামেন্টে পাশ করতে হবে। এই ধরনের ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি তৈরি করে কার লাভ হচ্ছে ? গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা একসাথে লড়াই করেছি। যে সমস্ত দল ও সর্বশেষ ছাত্র জনতা আমাদের ভেতরই যদি মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ে, ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে তো ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবেই।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত)। কে তাদের আনুগত্য করবে কে তাদের পক্ষে থাকবে তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশকে তাদের কব্জায় নিতে চেয়েছিল। এজন্যই দুনিয়া কাঁপানো ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে এক ভয়ংকর দানবীয় ফ্যাসিস্টের পতন হলো এবং সে পালিয়ে গেল সেই দেশে (ভারতে)। এরপর সেই দেশের মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা উন্মাদ হয়ে গেল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করল, তারা বলতে লাগলো বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের আস্তানা। যেই ঘুম খুনের মধ্য দিয়ে রক্ত গঙ্গা বয়িয়ে ক্ষমতার সিংহাসন ধরে রেখেছিল শেখ হাসিনা, সেই শেখ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিয়ে প্রশ্রয় দিয়ে টিকিয়ে রেখে তারা চেয়েছে বাংলাদেশে থাকবে তাদের কব্জার মধ্যে।

তিনি বলেন, তাদের পররাষ্ট্রনীতি, তাদের অভ্যন্তরীণ নীতি, বাণিজ্যিক নীতি যা হবে সেটাই বাংলাদেশকে মানতে হবে। সেটাই করতে চেয়েছিলেন এবং অনেকটাই পূরণ করেছিলেন শেখ হাসিনার মাধ্যমে। তাই শেখ হাসিনা শূন্য বাংলাদেশ তাদের জন্য (ভারতের) খুবই মনো ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সেমিমারের প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ডঃ মোঃ এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিল্পব, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাবসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সেমিনার শেষে একটি মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিন করা হয়।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জিম শরীরের মেদ কমাতে পান করুণ ডিটক্স ওয়াটার

বাংলাদের অভ্যন্তরে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা চলছে- নাটোরে রুহুল কবির রিজভী

আপডেট সময় : ০৬:২০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধিঃ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আমরা এখন ভয়ংকর সময় অতিক্রম করছি । কেননা আমরা একটি দুঃস্বপ্নের পর শান্তি ও স্বস্তির মধ্যে থাকতে চেয়েছি। কিন্তু এখন নানা ভাবে অর্ন্তঘাত সৃষ্টি করা, নানা ভাবে বিভিন্ন দুর্যোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা ষড়যন্ত্র করার প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশকে আবার তাদের কবজায় নিতে বহু ধরনের খেলাধুলা চলছে। এব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে শহরের অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে জিয়া পরিষদ নাটোর আয়োজিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরি স্বপন।

সেমিনারে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহ মোঃ শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পতন দেখতে চেয়েছেন, সেই সাথে একটি ভালো সরকারও চেয়েছেন। দেশের মানুষ একটি অর্ন্তবর্তী সরকার পেয়েছেন। এ সরকারের দায়িত্ব একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। কেননা দেশে অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন জাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সেই জাদুঘর থেকে জীবন্ত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই বিশ্বাস দেশের মানুষ ডক্টর ইউনুস সাহেবের উপর রেখেছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর না জুন, ডিসেম্বর না মার্চ বলা হয়। তাহলে এটি সরকারের দৃঢ় সংকল্প বা অঙ্গীকার, যেটির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে সেটা অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন করলে যে দল ক্ষমতায় আসবে, তারা সংস্কার করতে পারবে কিনা সন্দেহ। অথচ সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। যে দল নির্বাচিত হবে তাদের তো পার্লামেন্টে পাশ করতে হবে। এই ধরনের ধোঁয়াশা বিভ্রান্তি তৈরি করে কার লাভ হচ্ছে ? গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা একসাথে লড়াই করেছি। যে সমস্ত দল ও সর্বশেষ ছাত্র জনতা আমাদের ভেতরই যদি মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ে, ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে তাহলে তো ফ্যাসিবাদ মাথা তোলার চেষ্টা করবেই।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত)। কে তাদের আনুগত্য করবে কে তাদের পক্ষে থাকবে তাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশকে তাদের কব্জায় নিতে চেয়েছিল। এজন্যই দুনিয়া কাঁপানো ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে এক ভয়ংকর দানবীয় ফ্যাসিস্টের পতন হলো এবং সে পালিয়ে গেল সেই দেশে (ভারতে)। এরপর সেই দেশের মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা উন্মাদ হয়ে গেল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করল, তারা বলতে লাগলো বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের আস্তানা। যেই ঘুম খুনের মধ্য দিয়ে রক্ত গঙ্গা বয়িয়ে ক্ষমতার সিংহাসন ধরে রেখেছিল শেখ হাসিনা, সেই শেখ হাসিনাকে তারা আশ্রয় দিয়ে প্রশ্রয় দিয়ে টিকিয়ে রেখে তারা চেয়েছে বাংলাদেশে থাকবে তাদের কব্জার মধ্যে।

তিনি বলেন, তাদের পররাষ্ট্রনীতি, তাদের অভ্যন্তরীণ নীতি, বাণিজ্যিক নীতি যা হবে সেটাই বাংলাদেশকে মানতে হবে। সেটাই করতে চেয়েছিলেন এবং অনেকটাই পূরণ করেছিলেন শেখ হাসিনার মাধ্যমে। তাই শেখ হাসিনা শূন্য বাংলাদেশ তাদের জন্য (ভারতের) খুবই মনো ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের রুখে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সেমিমারের প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ডঃ মোঃ এমতাজ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, রাজশাহী জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিল্পব, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাবসহ পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সেমিনার শেষে একটি মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিন করা হয়।

এমএস