ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : সালাহউদ্দি নআহমদ কুমিল্লার পথসভায় আমীরে জামায়াত“ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রুখতে দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে” জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না : হেফাজতে আমির জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়াতে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার দুর্নীতি বন্ধ হলে দেশ স্বনির্ভর হতে সময় লাগবে না: রেজাউল করিম সুন্নতের শিক্ষা সমাজে ছড়িয়ে দিতে চাই: ধর্ম উপদেষ্টা বেসরকারি ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক জনবল নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে খেলার জন্য পুঁজিবাজারের মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত : বিএসইসি কমিশনার ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ইএফটি সুবিধা চালু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার উপর সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা

ছবি : সংগৃহীত

সরকারি তিতুমীর কলেজস্থ নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সানি।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কলেজের গণিত বিভাগের ক্লাস রুমে সামনে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর সানির উপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী তানজিদ মাহমুদ জানান, দুপুর বেলায় আমি গণিত বিভাগের দিকে গেলে সানি ভাই আমাকে ডাক দেন। আমি সেখানে গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর দেখি, আবিক এবং খাজা মইনুদ্দিন আসে। তারা এসে বলে, “তোমরা এখানে ইফতার মাহফিল করছ, কার থেকে অনুমতি নিয়েছ?” এ কথা বলে তারা ব্যানার খুলতে যায়। তখন সানি ভাই বাধা দিতে গেলে খাজা তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।

হামলার পর আহত জাহাঙ্গীর সানিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন বলেন, “আমরা নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল করেছি। কিন্তু আজকে জাহাঙ্গীর সানির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। আমরা তাদের বাধা দিয়েছি এবং ব্যানার খুলতে গিয়েছিলাম। তখনই জাহাঙ্গীর সানি আমার ওপর হামলা করেছে। সেখানে আমার ছোট ভাই আবিকও উপস্থিত ছিলেন।”

ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন আনোয়ার হোসেন আবিক। তিনি বলেন, “তিতুমীর কলেজে নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ একটাই আছে। আমি আজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখতে পাই, নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নামে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির সঙ্গে আমার পূর্বের বিরোধ ছিল। আজ তাকে ক্যাম্পাসে পেয়ে আমি থানায় দিতে চাইলে সে আমার ওপর হামলা করে। পরে শুনতে পারি, জাহাঙ্গীর সানি হাতুড়ি নিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন ভাইয়ের ওপর হামলা করতে আসে। তখন জাহাঙ্গীর সানির ঘুষিতে খাজা মঈনুদ্দিন আহত হন।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, “এটা তাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের বিষয়, এতে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।” তিনি আরও বলেন, “সংগঠন যদি এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : সালাহউদ্দি নআহমদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার উপর সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা

আপডেট সময় : ১০:২৯:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

সরকারি তিতুমীর কলেজস্থ নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সানি।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কলেজের গণিত বিভাগের ক্লাস রুমে সামনে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর সানির উপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী তানজিদ মাহমুদ জানান, দুপুর বেলায় আমি গণিত বিভাগের দিকে গেলে সানি ভাই আমাকে ডাক দেন। আমি সেখানে গিয়ে বসার কিছুক্ষণ পর দেখি, আবিক এবং খাজা মইনুদ্দিন আসে। তারা এসে বলে, “তোমরা এখানে ইফতার মাহফিল করছ, কার থেকে অনুমতি নিয়েছ?” এ কথা বলে তারা ব্যানার খুলতে যায়। তখন সানি ভাই বাধা দিতে গেলে খাজা তাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।

হামলার পর আহত জাহাঙ্গীর সানিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন বলেন, “আমরা নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল করেছি। কিন্তু আজকে জাহাঙ্গীর সানির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। আমরা তাদের বাধা দিয়েছি এবং ব্যানার খুলতে গিয়েছিলাম। তখনই জাহাঙ্গীর সানি আমার ওপর হামলা করেছে। সেখানে আমার ছোট ভাই আবিকও উপস্থিত ছিলেন।”

ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন আনোয়ার হোসেন আবিক। তিনি বলেন, “তিতুমীর কলেজে নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ একটাই আছে। আমি আজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখতে পাই, নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নামে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির সঙ্গে আমার পূর্বের বিরোধ ছিল। আজ তাকে ক্যাম্পাসে পেয়ে আমি থানায় দিতে চাইলে সে আমার ওপর হামলা করে। পরে শুনতে পারি, জাহাঙ্গীর সানি হাতুড়ি নিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন ভাইয়ের ওপর হামলা করতে আসে। তখন জাহাঙ্গীর সানির ঘুষিতে খাজা মঈনুদ্দিন আহত হন।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন বলেন, “এটা তাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের বিষয়, এতে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।” তিনি আরও বলেন, “সংগঠন যদি এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”