ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ (মূল) এর গোপন আস্তানা থেকে গোলাবারুদসহ বিপুল সামগ্রী উদ্ধার

ছবি : সংগৃহীত

জাহাঙ্গীর আলম,রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ

অদ্য, ০৭ মার্চ ২০২৫ (শুক্রবার) পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালি ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প। আজ ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই আস্তানার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়।

সেনা অভিযানের বিবরণ:

বিশেষ অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ অন্যান্য নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত:

পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকাজুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর তৎপরতা:

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

ইউপিডিএফ (মূল) এর অপতৎপরতা:

অপরদিকে বরাবরের মতো ইউপিডিএফ (মূল) ঘটনাটিকে ভিন্ন খেতে প্রবাহিত করতে ও সত্য আড়াল করতে তাদের সমর্থক গোষ্ঠীদের মাধ্যমে কাউখালী এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিশেষ করে তারা শিশু ও মহিলাদের ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত অপপ্রচারও শুরু করেছে। শুধু তাই না, শিশু ও মহিলাদের মাধ্যমে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে সেনা বাহিনী কর্তৃক উদ্ধারকৃত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছে।

নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান:

অঞ্চলটিতে বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সন্দেহজনক কোনো তথ্য বা গতিবিধি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ (মূল) এর গোপন আস্তানা থেকে গোলাবারুদসহ বিপুল সামগ্রী উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

জাহাঙ্গীর আলম,রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ

অদ্য, ০৭ মার্চ ২০২৫ (শুক্রবার) পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালি ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের কাউখালী সেনা ক্যাম্প। আজ ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এই আস্তানার অস্তিত্ব প্রকাশ পায়।

সেনা অভিযানের বিবরণ:

বিশেষ অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ অন্যান্য নথিপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত:

পালিয়ে যাওয়া ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকাজুড়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর তৎপরতা:

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

ইউপিডিএফ (মূল) এর অপতৎপরতা:

অপরদিকে বরাবরের মতো ইউপিডিএফ (মূল) ঘটনাটিকে ভিন্ন খেতে প্রবাহিত করতে ও সত্য আড়াল করতে তাদের সমর্থক গোষ্ঠীদের মাধ্যমে কাউখালী এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে। বিশেষ করে তারা শিশু ও মহিলাদের ব্যবহারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে এ সংক্রান্ত অপপ্রচারও শুরু করেছে। শুধু তাই না, শিশু ও মহিলাদের মাধ্যমে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে সেনা বাহিনী কর্তৃক উদ্ধারকৃত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছে।

নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান:

অঞ্চলটিতে বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সন্দেহজনক কোনো তথ্য বা গতিবিধি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এমএস