ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চীন পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ‘দাগি’র বিশেষ প্রদর্শনীতে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে বহিষ্কার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নতুন কৌশল নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনে গ’ণ’হ’ত্যার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতির অংশ নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

রমজানে গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ স্থগিত করলো ইসরাইল

ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ স্থগিত করছে ইসরাইল। একইসঙ্গে তারা হুমকি দিয়েছে, হামাস যদি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তবে এর ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় সব ধরনের পণ্য ও ত্রাণ প্রবেশ স্থগিত থাকবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না ইসরাইল। হামাস যদি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তবে আরও পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ইসরাইলের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে একে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি বলেছে, এটি উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে, যার প্রথম ৪২ দিনব্যাপী ধাপ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব অনুসারে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের একটি প্রস্তাবিত সম্প্রসারণ করা হবে, যা রমজান থেকে শুরু হয়ে মধ্য এপ্রিলের পাসওভার পর্যন্ত চলবে।

ইসরাইলের বিবৃতি অনুযায়ী, এ সম্প্রসারণ কার্যকর হলে প্রথম দিনেই গাজায় বন্দি অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো গেলে বাকিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

হামাস রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, মানবিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত সস্তা ব্ল্যাকমেইল, যুদ্ধাপরাধ এবং (যুদ্ধবিরতি) চুক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি অভ্যুত্থান।

ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী বরাবরই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের পক্ষে, যা অবশিষ্ট সব জিম্মির মুক্তি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আরও স্থায়ীভাবে সংঘর্ষ বন্ধের পথ সুগম করবে।

হামাস ‘মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি’ আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং গাজায় বসবাসকারী ২০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে নেওয়া ‘শাস্তিমূলক ও অনৈতিক পদক্ষেপ’ বন্ধ করে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে, যুদ্ধবিরতির আগে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ছিল। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সহায়তা প্রবেশ কিছুটা বেড়েছিল।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চীন পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রমজানে গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ স্থগিত করলো ইসরাইল

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ ও পণ্যের প্রবেশ স্থগিত করছে ইসরাইল। একইসঙ্গে তারা হুমকি দিয়েছে, হামাস যদি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ না করে, তবে এর ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় সব ধরনের পণ্য ও ত্রাণ প্রবেশ স্থগিত থাকবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না ইসরাইল। হামাস যদি তাদের অবস্থানে অনড় থাকে, তবে আরও পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ইসরাইলের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে একে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি বলেছে, এটি উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে, যার প্রথম ৪২ দিনব্যাপী ধাপ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব অনুসারে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের একটি প্রস্তাবিত সম্প্রসারণ করা হবে, যা রমজান থেকে শুরু হয়ে মধ্য এপ্রিলের পাসওভার পর্যন্ত চলবে।

ইসরাইলের বিবৃতি অনুযায়ী, এ সম্প্রসারণ কার্যকর হলে প্রথম দিনেই গাজায় বন্দি অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো গেলে বাকিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

হামাস রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, মানবিক সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত সস্তা ব্ল্যাকমেইল, যুদ্ধাপরাধ এবং (যুদ্ধবিরতি) চুক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি অভ্যুত্থান।

ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী বরাবরই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশের পক্ষে, যা অবশিষ্ট সব জিম্মির মুক্তি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আরও স্থায়ীভাবে সংঘর্ষ বন্ধের পথ সুগম করবে।

হামাস ‘মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি’ আহ্বান জানিয়েছে, তারা যেন ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এবং গাজায় বসবাসকারী ২০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে নেওয়া ‘শাস্তিমূলক ও অনৈতিক পদক্ষেপ’ বন্ধ করে।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে, যুদ্ধবিরতির আগে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ছিল। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সহায়তা প্রবেশ কিছুটা বেড়েছিল।

কেকে