ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমরা বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না : ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত চীন পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ‘দাগি’র বিশেষ প্রদর্শনীতে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে বহিষ্কার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নতুন কৌশল নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনে গ’ণ’হ’ত্যার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতির অংশ নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দুই মুসলিম দেশকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ডোনাল্ড ট্রাম্প ছবি : সংগৃহীত)

বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে ফিলিস্তিনের গাজার দখল নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এ খায়েশ প্রকাশ করে আসছেন। প্রথম দিকে রসিকতা মনে হলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেই খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করায় ইস্যুটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এবার গাজা তার আদিবাসীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিরোধিতা করে বিপদে পড়তে যাচ্ছে দুটি মুসলিম দেশ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেন। তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে মিসর ও জর্ডান উভয় দেশই প্রত্যাখ্যান করেছে। এরই মধ্যে আরব দেশগুলোও ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং তা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

মিসর ও জর্ডানের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, জর্ডান ও মিসর যদি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার বিষয়টি মেনে না নেয়, তাহলে তিনি তাদের সাহায্য বাতিল করার কথা বিবেচনা করবেন।

তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, হয়তো। অবশ্যই, কেন নয়? যদি তারা তা না করে, তাহলে আমি সম্ভবত সাহায্য বন্ধ করে দেব।’

জর্ডানের রাজাকে আরও ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের জন্য কীভাবে রাজি করাবেন জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি তিনি এ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। আমার মনে হয়, অন্যান্য দেশও গ্রহণ করবে। তাদের হৃদয় উদার।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তির আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ওই সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে আবারও যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি চান ট্রাম্প। নয়তো যুদ্ধবিরতি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি বলব- যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন। তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে এবং সেখানে নরক শুরু হোক।

ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি শনিবারের মধ্যে গাজা উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব করে বলেন, আমি যতদূর জানি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয়– আমার মনে হয় এটিই উপযুক্ত সময়– আমি বলব, এটি বাতিল করুন, সমস্ত বাজি বন্ধ হয়ে যাক এবং নরক শুরু হোক। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না : ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

দুই মুসলিম দেশকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ১১:২২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে ফিলিস্তিনের গাজার দখল নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্প এ খায়েশ প্রকাশ করে আসছেন। প্রথম দিকে রসিকতা মনে হলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সেই খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করায় ইস্যুটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এবার গাজা তার আদিবাসীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিরোধিতা করে বিপদে পড়তে যাচ্ছে দুটি মুসলিম দেশ। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেন। তবে ট্রাম্পের এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে মিসর ও জর্ডান উভয় দেশই প্রত্যাখ্যান করেছে। এরই মধ্যে আরব দেশগুলোও ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে নেওয়ার এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং তা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

মিসর ও জর্ডানের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, জর্ডান ও মিসর যদি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার বিষয়টি মেনে না নেয়, তাহলে তিনি তাদের সাহায্য বাতিল করার কথা বিবেচনা করবেন।

তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, হয়তো। অবশ্যই, কেন নয়? যদি তারা তা না করে, তাহলে আমি সম্ভবত সাহায্য বন্ধ করে দেব।’

জর্ডানের রাজাকে আরও ফিলিস্তিনিদের গ্রহণের জন্য কীভাবে রাজি করাবেন জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি তিনি এ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। আমার মনে হয়, অন্যান্য দেশও গ্রহণ করবে। তাদের হৃদয় উদার।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তির আলটিমেটাম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ওই সময়ের মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে আবারও যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবারের (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি চান ট্রাম্প। নয়তো যুদ্ধবিরতি বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি বলব- যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন। তাহলে সব বাজি শেষ হয়ে যাবে এবং সেখানে নরক শুরু হোক।

ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি শনিবারের মধ্যে গাজা উপত্যকায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব করে বলেন, আমি যতদূর জানি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত জিম্মিকে ফেরত না দেওয়া হয়– আমার মনে হয় এটিই উপযুক্ত সময়– আমি বলব, এটি বাতিল করুন, সমস্ত বাজি বন্ধ হয়ে যাক এবং নরক শুরু হোক। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেওয়া উচিত।

কেকে