ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিয়ে করছেন হলিউডের স্পাইডারম্যান খ্যাত টম হল্যান্ড ও জেনডেয়া শেয়ারবাজারের সংকট আরও বেড়েছে কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি, প্রতি আসনের বিপরীতে ২৩ পরীক্ষার্থী কলেজের ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানার টানিয়েছে শিক্ষার্থীরা ‘গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতেই সংস্কার’: কামাল আহমেদ রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানাল পাকিস্তান টিউলিপের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি বিএফআইইউর আল্লাহর ইচ্ছায় ফিলিস্তিনেও ন্যায়ের জয় হবে: তুরস্ক প্রেসিডেন্ট এরদোগান নেপাল,ভুটান,ভারত,চিন সহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ইবির সেই শিক্ষক হাফিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে

নেতানিয়াহুর জন্য হুমকি এরদোয়ানের

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু (ছবি : সংগৃহীত)

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। দফায় দফায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন এরদোয়ান ও নেতানিয়াহু। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নও করে তুরস্ক। তবে শক্তিশালী দেশদুটি কখনো সরাসরি সংঘাতে না জড়ালেও এবার সেই শঙ্কাই তৈরি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সিরিয়া ইস্যুতে এখন মুখোমুখী দাঁড়িয়ে আছেন এরদোয়ান ও নেতানিয়াহু। বাশার আল আসাদের পতনের পর দামেস্কের ক্ষমতা এখন বিদ্রোহীদের হাতে। তুরস্ক সেখানে নিজের একক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে, যাকে নিজ স্বার্থের জন্য বড় হুমকি মনে করছে তেল আবিব।

গেল মাসে বাশার আল আসাদের পতনের ঘটে বিদ্রোহীদের হাতে। হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের এই অভিযানে মদত জুগিয়েছে তুরস্ক। এরদোয়ানের ছকে বাশার আসাদ যখন দৃষ্টিসীমার বাইরে তখনই আবির্ভাব ঘটে ইসরায়েলের। সুযোগ বুঝে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত অঞ্চল কব্জায় নেয় নেতানিয়াহুর বাহিনী। এরপরই ঘটে আসল বিপত্তি।

একদিকে ইসরায়েল যখন সিরিয়াকে দুর্বল করতে চাইছে, ঠিক তখন এরদোয়ান চাইছেন সিরিয়াকে আরও শক্তিশালী এবং দামেস্কে নিজের আধিপত্য আরও জোরালো করতে। তবে এই খেলায় এরদোয়ানের সামনে বড় বাধা কুর্দিরা। এরদোয়ান যে কুর্দিদের দমাতে চাইছেন, সেই কুর্দিদের পক্ষেই আওয়াজ উঠছে তেল-আবিবে।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার কুর্দিশাসিত অঞ্চলে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন এবং অস্ত্র ও পায় তারা। তবে এরদোয়ান এটাকে তুরস্কের জন্য বড় হুমকি মনে করেন।

সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর এরই মধ্যে মার্কিন বাহিনীর ছত্রছায়ায় থাকা কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী এসডিএফের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে তুরস্ক। এসডিএফকে নিশ্চিহ্ন করতে এসএনএ ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে আঙ্কারা। আর এই প্রেক্ষিতে ইসরায়েল যখন এসডিএফ কে সমর্থন দিতে যাচ্ছে তখন দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি একজন অধ্যাপক এফ্রাত আভিভের মন্তব্য প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট। সেখানে তিনি বলেছেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে তেল আবিব ও আঙ্কারার সম্পর্কে তিক্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক দফা কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি প্রশমন করেছে দুই দেশ। কিন্তু তুরস্ক এখন ইসরায়েলের দরজায় পৌঁছে যাওয়ায় আঙ্কারা- তেল আবিবের সম্পর্কে আবারও অবনতি ঘটতে পারে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ে করছেন হলিউডের স্পাইডারম্যান খ্যাত টম হল্যান্ড ও জেনডেয়া

নেতানিয়াহুর জন্য হুমকি এরদোয়ানের

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। দফায় দফায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন এরদোয়ান ও নেতানিয়াহু। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নও করে তুরস্ক। তবে শক্তিশালী দেশদুটি কখনো সরাসরি সংঘাতে না জড়ালেও এবার সেই শঙ্কাই তৈরি হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সিরিয়া ইস্যুতে এখন মুখোমুখী দাঁড়িয়ে আছেন এরদোয়ান ও নেতানিয়াহু। বাশার আল আসাদের পতনের পর দামেস্কের ক্ষমতা এখন বিদ্রোহীদের হাতে। তুরস্ক সেখানে নিজের একক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে, যাকে নিজ স্বার্থের জন্য বড় হুমকি মনে করছে তেল আবিব।

গেল মাসে বাশার আল আসাদের পতনের ঘটে বিদ্রোহীদের হাতে। হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের এই অভিযানে মদত জুগিয়েছে তুরস্ক। এরদোয়ানের ছকে বাশার আসাদ যখন দৃষ্টিসীমার বাইরে তখনই আবির্ভাব ঘটে ইসরায়েলের। সুযোগ বুঝে সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত অঞ্চল কব্জায় নেয় নেতানিয়াহুর বাহিনী। এরপরই ঘটে আসল বিপত্তি।

একদিকে ইসরায়েল যখন সিরিয়াকে দুর্বল করতে চাইছে, ঠিক তখন এরদোয়ান চাইছেন সিরিয়াকে আরও শক্তিশালী এবং দামেস্কে নিজের আধিপত্য আরও জোরালো করতে। তবে এই খেলায় এরদোয়ানের সামনে বড় বাধা কুর্দিরা। এরদোয়ান যে কুর্দিদের দমাতে চাইছেন, সেই কুর্দিদের পক্ষেই আওয়াজ উঠছে তেল-আবিবে।

তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার কুর্দিশাসিত অঞ্চলে নতুন একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এই দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন এবং অস্ত্র ও পায় তারা। তবে এরদোয়ান এটাকে তুরস্কের জন্য বড় হুমকি মনে করেন।

সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর এরই মধ্যে মার্কিন বাহিনীর ছত্রছায়ায় থাকা কুর্দি সশস্ত্র গোষ্ঠী এসডিএফের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে তুরস্ক। এসডিএফকে নিশ্চিহ্ন করতে এসএনএ ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে আঙ্কারা। আর এই প্রেক্ষিতে ইসরায়েল যখন এসডিএফ কে সমর্থন দিতে যাচ্ছে তখন দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি একজন অধ্যাপক এফ্রাত আভিভের মন্তব্য প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট। সেখানে তিনি বলেছেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে তেল আবিব ও আঙ্কারার সম্পর্কে তিক্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েক দফা কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি প্রশমন করেছে দুই দেশ। কিন্তু তুরস্ক এখন ইসরায়েলের দরজায় পৌঁছে যাওয়ায় আঙ্কারা- তেল আবিবের সম্পর্কে আবারও অবনতি ঘটতে পারে।

কেকে