ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ জীবনে মানুষের মতো মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় সার্টিফিকেট: কেয়া পায়েল ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কঠোর আইন চালু সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে যে দলেরই হোক না কেন : আশফাক নিপুন জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়, এনসিপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা উন্মুক্ত : সালাহউদ্দিন আহমেদ সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কি না, এটা এখন মানুষের মনে মনে: রুহুল কবির রিজভী ২০৩০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে রিয়ালের মাঠে: মার্কা ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই, চ্যালেঞ্জের মুখে গুগল ক্রোম রাজপথে নামাতে বাধ্য করবেন না: আখতার হোসেন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা শেষ

আবার রাজপথে নামার আগে খুনি-দোসরদের গ্রেপ্তার করুন: সারজিস

ছবিঃ সংগৃহীত

আবার রাজপথে নামার আগে খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১৬ বছরের অন্যায়, অত্যাচার, কুকর্মের উপযুক্ত শাস্তি না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে ৷ আমরা আবার রাজপথে নামার আগে এসব খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন’ ৷

এদিকে গত ১৫ অক্টোবর সকালে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস আলম।

তিনি বলেন বর্তমানে সবচেয়ে অ্যাকটিভ উপদেষ্টা হওয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার, যিনি মন্ত্রণালয়ে অফিস না করে হাসপাতালে করবেন কিন্তু আমরা তাকে তেমন অ্যাকটিভ দেখতে পাই না।

সারজিস বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রত্যেকটা হাসপাতালে দৌড়ে বেড়ানো উচিত। আমরা এই কথাটা বারবার বলেছি। কেন আমরা এখনো এখানে আসব? আজ দুই থেকে আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে, অথচ তারা বলছে সরকার থেকে কোনো সাহায্য পায়নি। একটা মন্ত্রণায়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা কি খুব বড় ব্যাপার? এই এক একটা মানুষকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হলে কি খুব বেশি টাকা লাগবে! তাহলে কেন আমার আহত ভাইয়েরা এই কথাটা বলল? আমাদের কাছে এমন অনেক অভিযোগ এসেছে। ছবি ও ভিডিও এসেছে।

তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতালে এসে দেখলাম এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের যে জিনিসগুলো সেবার জন্য দেওয়া হয়, এই জিনিস গুলোর মধ্যে যেখানে বেডপ্যাক দেওয়ার কথা সেখানে পেপার দেওয়া হয়েছে। যে জায়গায় গুলি লেগেছে সেই জায়গায় পেপার দেওয়া মানে তো সেখানে ইনফেকশন করবে।

আরেকটা অভিযোগ এসেছে এখানকার পরিবেশ, এখানে নতুন বিল্ডিং আছে সেখানকার পরিবেশ ভালো। কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে কিছু রুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রুমগুলোতে রোগী রাখা হয়েছে। এখন তারা যদি বলে এখানে রোগীর আধিক্য বেড়েছে বলে পরিত্যক্ত রুমে রাখা হবে, যেগুলো গোডাউনের চেয়ে খারাপ। সেটাতো যৌক্তিক হতে পারে না। যে রুমগুলো দুই জনের, যেগুলো ভাল রয়েছে সেখানে আরেকটা বেডপ্যাক আপনি লাগান। সেটা না করে তারা পরিত্যক্ত রুম গুলোতে রেখেছে। রোগী ভাল হওয়ার জন্য ভাল পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ যদি নরমাল পরিবেশের চেয়ে খারাপ হয় তাহলে রোগী তো ভাল হওয়ার চেয়ে খারাপের দিকে যাবে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ

আবার রাজপথে নামার আগে খুনি-দোসরদের গ্রেপ্তার করুন: সারজিস

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

আবার রাজপথে নামার আগে খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘১৬ বছরের অন্যায়, অত্যাচার, কুকর্মের উপযুক্ত শাস্তি না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে ৷ আমরা আবার রাজপথে নামার আগে এসব খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন’ ৷

এদিকে গত ১৫ অক্টোবর সকালে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সারজিস আলম।

তিনি বলেন বর্তমানে সবচেয়ে অ্যাকটিভ উপদেষ্টা হওয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টার, যিনি মন্ত্রণালয়ে অফিস না করে হাসপাতালে করবেন কিন্তু আমরা তাকে তেমন অ্যাকটিভ দেখতে পাই না।

সারজিস বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রত্যেকটা হাসপাতালে দৌড়ে বেড়ানো উচিত। আমরা এই কথাটা বারবার বলেছি। কেন আমরা এখনো এখানে আসব? আজ দুই থেকে আড়াই মাস হয়ে যাচ্ছে, অথচ তারা বলছে সরকার থেকে কোনো সাহায্য পায়নি। একটা মন্ত্রণায়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা কি খুব বড় ব্যাপার? এই এক একটা মানুষকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হলে কি খুব বেশি টাকা লাগবে! তাহলে কেন আমার আহত ভাইয়েরা এই কথাটা বলল? আমাদের কাছে এমন অনেক অভিযোগ এসেছে। ছবি ও ভিডিও এসেছে।

তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতালে এসে দেখলাম এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের যে জিনিসগুলো সেবার জন্য দেওয়া হয়, এই জিনিস গুলোর মধ্যে যেখানে বেডপ্যাক দেওয়ার কথা সেখানে পেপার দেওয়া হয়েছে। যে জায়গায় গুলি লেগেছে সেই জায়গায় পেপার দেওয়া মানে তো সেখানে ইনফেকশন করবে।

আরেকটা অভিযোগ এসেছে এখানকার পরিবেশ, এখানে নতুন বিল্ডিং আছে সেখানকার পরিবেশ ভালো। কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে কিছু রুম পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রুমগুলোতে রোগী রাখা হয়েছে। এখন তারা যদি বলে এখানে রোগীর আধিক্য বেড়েছে বলে পরিত্যক্ত রুমে রাখা হবে, যেগুলো গোডাউনের চেয়ে খারাপ। সেটাতো যৌক্তিক হতে পারে না। যে রুমগুলো দুই জনের, যেগুলো ভাল রয়েছে সেখানে আরেকটা বেডপ্যাক আপনি লাগান। সেটা না করে তারা পরিত্যক্ত রুম গুলোতে রেখেছে। রোগী ভাল হওয়ার জন্য ভাল পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ যদি নরমাল পরিবেশের চেয়ে খারাপ হয় তাহলে রোগী তো ভাল হওয়ার চেয়ে খারাপের দিকে যাবে।