ওমর ফারুক, জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা এবং পানছড়ি উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ৭৯ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (৭ মে ২০২৫) ভোর রাতে তাদের সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে বাধ্য করে বিএসএফ।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক) নাজমুন আরা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যমতে, জেলার মাটিরাঙ্গার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে তিন পরিবারের ২৭ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এছাড়াও খাগড়াছড়ির ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন রুপসেনপাড়া বিওপি’র সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ৩০ জন ভারতীয় (গুজরাট রাজ্যের) মুসলিম নাগরিক পানছড়ি উপজেলায় অনুপ্রবেশ করে বলে জানা যায়।
এসব নাগরিকদের পূর্ব পুরুষরা বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন এমন অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের সাথে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জন ভারতীয় মুসলিম বিএসএফের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে জানা যায়। তাদেরকে বিএসএফ কর্তৃক খেদাছড়া, যামিনীপাড়া, খাগড়াছড়ি ও পানছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা করা হতে পারে।(সূত্র: পার্বত্য নিউজ)
এ ভারতীয় মুসলিম নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার জন্য গুজরাট রাজ্য হতে বিমানযোগে ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে এখনো বিজিবি বা প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অবশ্য এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্তে জন ৭৯ অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বিজিবি দায়িত্বে আছেন। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের খাওয়ানো থাকার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
দক্ষিণ শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসেম বলেন, ভোরে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ২৭ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। সীমান্ত থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে তাদের স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। বর্তমানে আবুল মেম্বারের বাড়িতে অনুপ্রবেশকারীরা অবস্থান করছেন। ওই বাড়িতেই স্থানীয় ডেবার পাড় ক্যাম্পের বিজিবি তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সকালে তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক) নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করা সবাইকে বিজিবি বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছেন। মানবিক সহযোগিতা বিবেচনায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
এমএস