ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো চুক্তি করবেন না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দয়া করে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেটি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।

বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বস্তিকর প্রস্তুতির মধ্যে বসবাস করছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার পক্ষে একমত হয়েছে , সেগুলো সংস্কার করুন, সেগুলো সামনে নিয়ে আসুন। নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেগুলো হয়নি সেগুলো নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পার্লামেন্টে আইন পাস হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংস্কারের তো প্রথম শুরু করেছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সংস্কার তো আমাদের দাবি।

দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করছে গণতন্ত্রের ওপর। নির্বাচনই গনতন্ত্র উত্তরণের পথ। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই সব সমস্যা দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কর্মী সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকে বলেন- ১৭ বছর ধরে আপনার কি করেছেন? আরে, আমরা ১৭ বছর ধরে গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে গাছের গোড়া নরম করেছি, দুই দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনা যায়নি। যারা বলেন, ১৭ বছর কি করেছেন? তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করছেন।

তিনি বলেন, কেউ একা সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপদে ফেলছেন কিনা এটা খেয়াল রাখবেন। দেশে দুর্ভোগ ধেয়ে আসছে। আমাদের মধ্যে মতনৈক্য দেশটাকে খেয়ে ফেলবে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো গোপন চুক্তি করবেন আর এটা বলবেন না, এটা হবে না। মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে দেশটাকে বিপদে ফেলবেন না। কারণ আফগানিস্তানকে মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে পাকিস্তান এখনো দুর্ভোগে ভুগছে।

‘যেটা বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, সেটির চুক্তি প্রয়োজন নেই, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে সেই করতে চাইলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা আব্বাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও গণতন্ত্র এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তারেক রহমানের ওপর বিশ্বাস রেখে বলছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে বিএনপির বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র তা থামবে। মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সরকারে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার কমিশনে বিএনপি যেগুলো সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা নির্বাচনের আগে আইন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলেই কোন সমস্যা থাকবে না।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো চুক্তি করবেন না: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দয়া করে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেটি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।

বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটা অস্বস্তিকর প্রস্তুতির মধ্যে বসবাস করছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার পক্ষে একমত হয়েছে , সেগুলো সংস্কার করুন, সেগুলো সামনে নিয়ে আসুন। নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেগুলো হয়নি সেগুলো নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে পার্লামেন্টে আইন পাস হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সংস্কারের তো প্রথম শুরু করেছেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সংস্কার তো আমাদের দাবি।

দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করছে গণতন্ত্রের ওপর। নির্বাচনই গনতন্ত্র উত্তরণের পথ। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই সব সমস্যা দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির স্থায়ী কর্মী সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অনেকে বলেন- ১৭ বছর ধরে আপনার কি করেছেন? আরে, আমরা ১৭ বছর ধরে গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে গাছের গোড়া নরম করেছি, দুই দিনের আন্দোলনে শেখ হাসিনা যায়নি। যারা বলেন, ১৭ বছর কি করেছেন? তারা মিথ্যার সাগরে বসবাস করছেন।

তিনি বলেন, কেউ একা সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপদে ফেলছেন কিনা এটা খেয়াল রাখবেন। দেশে দুর্ভোগ ধেয়ে আসছে। আমাদের মধ্যে মতনৈক্য দেশটাকে খেয়ে ফেলবে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো গোপন চুক্তি করবেন আর এটা বলবেন না, এটা হবে না। মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে দেশটাকে বিপদে ফেলবেন না। কারণ আফগানিস্তানকে মানবিক করিডোর দিতে গিয়ে পাকিস্তান এখনো দুর্ভোগে ভুগছে।

‘যেটা বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই, সেটির চুক্তি প্রয়োজন নেই, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে সেই করতে চাইলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, এমন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা আব্বাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও গণতন্ত্র এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তারেক রহমানের ওপর বিশ্বাস রেখে বলছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে বিএনপির বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র তা থামবে। মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। সরকারে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার কমিশনে বিএনপি যেগুলো সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, তা নির্বাচনের আগে আইন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো বাস্তবায়ন হলেই কোন সমস্যা থাকবে না।

কেকে