মোঃ বাবুল আক্তার, ভেড়ামারা (উপজেলা) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাজারে অভিযানে গিয়ে পাগলদের হেনস্থার শিকার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনোয়ার হোসাইন ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স। গতকাল রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের ঘোড়েশাহ বাবার মাজারে আস্তানা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনোয়ার হোসাইন তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের বিত্তিপাড়াস্ত ঘোড়েশাহ দরবার শরীফে অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনাকালে মাজারের সীমানার মধ্যেকার পলিথিন দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী ঘর/দোকান থেকে বেশ কিছু কল্কিসহ মাদক সংশ্লিষ্ট কিছু দ্রব্য উদ্ধার করে। এ সময় আশেপাশে থাকা পাগলরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। প্রায় ২০০-৩০০ পাগল একসাথে অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট ও সঙ্গীও ফোর্সের ওপরে চড়াও হয়। এসময় মাজার কর্তৃপক্ষ পাগলদের শান্ত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
অবস্থা বেগতিক দেখে তাদেরকে মাজার কর্তৃপক্ষ গাড়িতে উঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে প্রাণ বিপন্নের আশঙ্কায় অভিযান অসমাপ্ত রেখেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থান ত্যাগ করে।
ঘোড়াশাহ মাজারের খাদেম আব্দুর রাজ্জাক জানান,আজ রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে।এ সময় পাগলরা উত্তেজিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে সমর্থ হই। আর কিছুক্ষণ তারা মাজারে অবস্থান করলে হয়তো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারত।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে এসিল্যান্ডকে হেনস্তার বিষয়টি শুনেছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল মাদক কারবারি ও মাদক দ্রব্য সেবনকারীদের ঘোড়েশাহের আস্তানা বা মাজার ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মাজার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে মাজার কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন,রবিবার রাত ১০ টার মধ্যে ঘোড়েশাহ বাবার মাজার প্রাঙ্গন থেকে সমস্ত ভক্ত-আশেকানদের চলে যাওয়ার আহ্বান করেছে।
এমএস