ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির উৎপাদিত কৃষি পণ্য যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে

ছবি : সংগৃহীত

রাজ্জাক উদ্দিন রুবেল, জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের মিরাশায় ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠে “মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতি লি:” সমবায় সমিতির সদস্যরা গড়ে তোলে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রয় কেন্দ্র যার নাম “মিরাশার চাষী বাজার” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

বর্তমানে প্রতিদিন মিরাশার চাষী বাজারে কোটি টাকার বেশি পরিমানের ফসল ক্রয়-বিক্রয় হয়।ক্রেতা বিক্রেতাদের মতে বাজারে যে ফসল বিক্রির জন্য আসে তা তাঁজা বা ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় এই ফসলের চাহিদা সারাদেশে ব্যাপক পরিমান।

বর্তমানে সব কিছুতেই ফরমালিন বা ভেজালে জয়জয়কার সেদিকে এই বাজার ভিন্নতার সুনাম ছড়িয়েছে। মিরাশার চাষী বাজারে সকল শাক,সবজি,তরি,তরকারী ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

মিরাশার চাষী বাজারের সমবায় সমিতির সব সদস্য কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত ফসল পিয়াজ,রসুন,কাচা মরিচ,শুকনা মরিচ, টমেটো,শসা,চিচিঙ্গা,করোল্লা,ঢেড়শ,লাউ,ফুল কপি,পাতা কপি,বেগুন সহ আরও অসংখ্য নিত্য প্রয়োজনীয় ফসল।

জাজিরা উপজেলায় কাচা শাকসবজি বা কাচা তরি-তরকারি এই ধরনের ফসলের উৎপাদন তুলনা মূল্যক ভাবে ২০০৮ সালের আগে খুবই কম ছিল,উল্টো জাজিরার এই ফসলের চাহিদার যোগান দিতে হত ঢাকা বা অন্য জেলার উৎপাদিত ফসল দ্বারা সেখানে এখন জাজিরা উপজেলার চাহিদার বড় অংশের যোগানের পাশাপাশি সারাদেশে যেমন ঢাকা,খুলনা,বরিশাল,চিটাগং,ফরিদপুর সহ প্রায় ২০টি জেলায় মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরন হচ্ছে।এই বাজারকে কেন্দ্র করে বাজারের আশপাশে কয়েকশত একর জমিতে আগাম জাতের কৃষি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে যা ২০০৮ সালের আগে তেমন দেখা যায়নি।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই বাজারের ফসল এখন ইউরোপের ০৪টি দেশে বাজারজাতকরণ হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি জনাব প্রিন্স খাঁনের সাথে দৈনিক প্রবাহ যোগাযোগ করলে তিনি জানায় বর্তমানে ইউরোপের ০৪টি দেশে পদ্মার পাড়ের উপজেলা জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ হচ্ছে।

মিরাশার চাষী বাজারে কৃষি পণ্য বিক্রয় করতে কৃষকের গুনতে হয়না খাজনা।বরং এই সমবায় সমিতির কৃষকদের জন্য রয়েছে সুদ বিহীন ঋণের ব্যবস্থা।বর্তমানে সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০জনের অধিক। তিনি আরও জানায় প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার উর্ধে ফসল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। জনাব প্রিন্স খাঁন জানায় সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে তা এই কৃষকদের জন্য যথাযথ সরবারাহ,প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত তদারকি চালিয়ে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতি।

তাছাড়া কৃষকদের পাশাপাশি তৈরী হবে তরুণ উদ্যোক্তা যারা দেশ-বিদেশে এখানে উৎপাদিত তাজা শাক,সবজি,তরি-তরকারী সহ যাবতীয় কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে তুলতে পারবে তাদের কর্মসংস্থান।

এমএস

ট্যাগস :

One thought on “মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির উৎপাদিত কৃষি পণ্য যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে

  1. আমাদের এলাকার সবজি দেশের বাইরে রপ্তানি হচ্ছে এতে চাষি গন সবজি উৎপাদন আরো উৎসাহিত হবে। ধন্যবাদ ভাতিজা প্রতিবেদনটি করার জন্য। সফলতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির উৎপাদিত কৃষি পণ্য যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে

আপডেট সময় : ১১:৪১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজ্জাক উদ্দিন রুবেল, জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের মিরাশায় ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠে “মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতি লি:” সমবায় সমিতির সদস্যরা গড়ে তোলে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রয় কেন্দ্র যার নাম “মিরাশার চাষী বাজার” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

বর্তমানে প্রতিদিন মিরাশার চাষী বাজারে কোটি টাকার বেশি পরিমানের ফসল ক্রয়-বিক্রয় হয়।ক্রেতা বিক্রেতাদের মতে বাজারে যে ফসল বিক্রির জন্য আসে তা তাঁজা বা ফরমালিন মুক্ত হওয়ায় এই ফসলের চাহিদা সারাদেশে ব্যাপক পরিমান।

বর্তমানে সব কিছুতেই ফরমালিন বা ভেজালে জয়জয়কার সেদিকে এই বাজার ভিন্নতার সুনাম ছড়িয়েছে। মিরাশার চাষী বাজারে সকল শাক,সবজি,তরি,তরকারী ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

মিরাশার চাষী বাজারের সমবায় সমিতির সব সদস্য কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত ফসল পিয়াজ,রসুন,কাচা মরিচ,শুকনা মরিচ, টমেটো,শসা,চিচিঙ্গা,করোল্লা,ঢেড়শ,লাউ,ফুল কপি,পাতা কপি,বেগুন সহ আরও অসংখ্য নিত্য প্রয়োজনীয় ফসল।

জাজিরা উপজেলায় কাচা শাকসবজি বা কাচা তরি-তরকারি এই ধরনের ফসলের উৎপাদন তুলনা মূল্যক ভাবে ২০০৮ সালের আগে খুবই কম ছিল,উল্টো জাজিরার এই ফসলের চাহিদার যোগান দিতে হত ঢাকা বা অন্য জেলার উৎপাদিত ফসল দ্বারা সেখানে এখন জাজিরা উপজেলার চাহিদার বড় অংশের যোগানের পাশাপাশি সারাদেশে যেমন ঢাকা,খুলনা,বরিশাল,চিটাগং,ফরিদপুর সহ প্রায় ২০টি জেলায় মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরন হচ্ছে।এই বাজারকে কেন্দ্র করে বাজারের আশপাশে কয়েকশত একর জমিতে আগাম জাতের কৃষি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে যা ২০০৮ সালের আগে তেমন দেখা যায়নি।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই বাজারের ফসল এখন ইউরোপের ০৪টি দেশে বাজারজাতকরণ হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি জনাব প্রিন্স খাঁনের সাথে দৈনিক প্রবাহ যোগাযোগ করলে তিনি জানায় বর্তমানে ইউরোপের ০৪টি দেশে পদ্মার পাড়ের উপজেলা জাজিরার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতির সদস্যদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ হচ্ছে।

মিরাশার চাষী বাজারে কৃষি পণ্য বিক্রয় করতে কৃষকের গুনতে হয়না খাজনা।বরং এই সমবায় সমিতির কৃষকদের জন্য রয়েছে সুদ বিহীন ঋণের ব্যবস্থা।বর্তমানে সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০জনের অধিক। তিনি আরও জানায় প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার উর্ধে ফসল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। জনাব প্রিন্স খাঁন জানায় সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে তা এই কৃষকদের জন্য যথাযথ সরবারাহ,প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত তদারকি চালিয়ে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে মিরাশার চাষী বাজার সমবায় সমিতি।

তাছাড়া কৃষকদের পাশাপাশি তৈরী হবে তরুণ উদ্যোক্তা যারা দেশ-বিদেশে এখানে উৎপাদিত তাজা শাক,সবজি,তরি-তরকারী সহ যাবতীয় কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে তুলতে পারবে তাদের কর্মসংস্থান।

এমএস