ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আড়ংয়ে চাকরির নিয়োগ, এইচএসসি পাশেই আবেদন ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি ছাত্র নেতাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, আহত ৪ জন, আটক ১ নাটোরের নলডাঙ্গায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েল হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানি কে হত্যা জানা গেল ফাজিল অনার্স পরীক্ষা শুরুর তারিখ বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদটা দরকার ছিল: মেলিন্ডা গেটস

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

টিউলিপ সিদ্দিক ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার (ছবি : সংগৃহীত)

বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির এক মামলায় নাম এসেছে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের। এর ফলে ক্রমেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। তবে এসময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। খবর রয়টার্সের।

লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেছেন, ‘টিউলিপ যথার্থভাবে স্বাধীন উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করছেন। আমার তার (টিউলিপ) ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন লরি ম্যাগনাস। মন্ত্রীরা তাদের কোড অব কন্ডাক্ট ঠিকঠাকভাবে পালন করছেন কিনা সেটা তার দেখার দায়িত্ব। টিউলিপের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখার এখতিয়ার রয়েছে লরি ম্যাগনাসের। নিজের বক্তব্যে এই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন স্টারমার।

বাংলাদেশে টিউলিপ ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে রয়টার্স টিউলিপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো জবাব পায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ রেহানাও। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।

শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশে এখন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে টিউলিপের বিরুদ্ধেও এখন তদন্ত চলছে।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ বলছে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ায় বিষয়টি টরি এমপিরাও খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন।

‘টিউলিপ সিদ্দিক আন্ডার রাইজিং প্রেসার টু রিজাইন ওভার প্রোপার্টি স্ক্যান্ডাল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের নামে তার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক সম্পত্তির খবর বেরিয়ে এসেছে।

ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ টিউলিপের সম্পদের উৎস ব্যাখ্যা এবং তার খালার সঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের যোগসূত্র স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারকে এই প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত তাকে (টিউলিপ) দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মেইল অন সানডে জানিয়েছে, টিউলিপ প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন যে, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছিলেন। পরবর্তী সময়ে বলা হয়, তার বাবা-মা আব্দুল মোতালিফকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মোতালিফ তাকে ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছেন।

এদিকে ডেইলি টেলিগ্রাফ ‘টিউলিপ সিদ্দিক মাস্ট বি ইনভেস্টিগেটেড বাই ওয়াচডগ ওভার ডিকটেটর লিঙ্কস’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশে খালার রাজনৈতিক দলের মিত্রের কাছ থেকে নেওয়া টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট ঘিরে অভিযোগের বিষয়টি টোরি এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টার মাধ্যমে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

তারা বলছেন, ফ্ল্যাটটি তার খালার রাজনৈতিক দলের মিত্রের দেওয়া উপহার ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটা স্যার লরি ম্যাগনাসের খতিয়ে দেখা উচিত।

দ্য মেইল জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমে বলেছিলেন, এমপি হওয়ার আগে উত্তর লন্ডনে তিনি যে দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে ছিলেন, সেটি তার বাবা-মা কিনেছেন। মেইল বলেছে, ২০২২ সালে যখন প্রথমবার ফ্ল্যাটটি (বর্তমান বাজারমূল্য সাত লাখ পাউন্ড) নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে লেবার পার্টির সূত্র সেই কথা পালটে দিয়ে বলে যে ফ্ল্যাটটি আসলে ‘পরিচিত’ কেউ টিউলিপের মা-বাবাকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন।

লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ একজন গত সপ্তাহে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা-মা ‘জীবনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে একজন বন্ধুকে’ আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। সেই ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে কৃতজ্ঞতা হিসাবে টিউলিপের মালিকানায় তার ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছিলেন।

টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র টেলিগ্রাফকে বলেছে, ‘তিনি কীভাবে সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছিলেন, সে সম্পর্কে টিউলিপের আগের বক্তব্য পরিবর্তন হয়েছে। তিনি ত্রুটি বুঝতে পেরেই যে সাংবাদিক আগে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন তাকে বিষয়টি জানাতে চেয়েছেন।’

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৩৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির এক মামলায় নাম এসেছে যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি-বিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের। এর ফলে ক্রমেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। তবে এসময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। খবর রয়টার্সের।

লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেছেন, ‘টিউলিপ যথার্থভাবে স্বাধীন উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করছেন। আমার তার (টিউলিপ) ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

ব্রিটিশ সরকারের নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন লরি ম্যাগনাস। মন্ত্রীরা তাদের কোড অব কন্ডাক্ট ঠিকঠাকভাবে পালন করছেন কিনা সেটা তার দেখার দায়িত্ব। টিউলিপের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা খতিয়ে দেখার এখতিয়ার রয়েছে লরি ম্যাগনাসের। নিজের বক্তব্যে এই বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন স্টারমার।

বাংলাদেশে টিউলিপ ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে রয়টার্স টিউলিপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো জবাব পায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ রেহানাও। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।

শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশে এখন বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে টিউলিপের বিরুদ্ধেও এখন তদন্ত চলছে।

এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ বলছে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ায় বিষয়টি টরি এমপিরাও খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন।

‘টিউলিপ সিদ্দিক আন্ডার রাইজিং প্রেসার টু রিজাইন ওভার প্রোপার্টি স্ক্যান্ডাল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের নামে তার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক সম্পত্তির খবর বেরিয়ে এসেছে।

ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ টিউলিপের সম্পদের উৎস ব্যাখ্যা এবং তার খালার সঙ্গে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের যোগসূত্র স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারকে এই প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত তাকে (টিউলিপ) দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মেইল অন সানডে জানিয়েছে, টিউলিপ প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন যে, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছিলেন। পরবর্তী সময়ে বলা হয়, তার বাবা-মা আব্দুল মোতালিফকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মোতালিফ তাকে ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছেন।

এদিকে ডেইলি টেলিগ্রাফ ‘টিউলিপ সিদ্দিক মাস্ট বি ইনভেস্টিগেটেড বাই ওয়াচডগ ওভার ডিকটেটর লিঙ্কস’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশে খালার রাজনৈতিক দলের মিত্রের কাছ থেকে নেওয়া টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট ঘিরে অভিযোগের বিষয়টি টোরি এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টার মাধ্যমে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

তারা বলছেন, ফ্ল্যাটটি তার খালার রাজনৈতিক দলের মিত্রের দেওয়া উপহার ছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেটা স্যার লরি ম্যাগনাসের খতিয়ে দেখা উচিত।

দ্য মেইল জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক প্রথমে বলেছিলেন, এমপি হওয়ার আগে উত্তর লন্ডনে তিনি যে দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে ছিলেন, সেটি তার বাবা-মা কিনেছেন। মেইল বলেছে, ২০২২ সালে যখন প্রথমবার ফ্ল্যাটটি (বর্তমান বাজারমূল্য সাত লাখ পাউন্ড) নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে লেবার পার্টির সূত্র সেই কথা পালটে দিয়ে বলে যে ফ্ল্যাটটি আসলে ‘পরিচিত’ কেউ টিউলিপের মা-বাবাকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন।

লেবার পার্টির ঘনিষ্ঠ একজন গত সপ্তাহে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে টিউলিপ সিদ্দিকের বাবা-মা ‘জীবনের চ্যালেঞ্জিং সময়ে একজন বন্ধুকে’ আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। সেই ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে কৃতজ্ঞতা হিসাবে টিউলিপের মালিকানায় তার ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছিলেন।

টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র টেলিগ্রাফকে বলেছে, ‘তিনি কীভাবে সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেছিলেন, সে সম্পর্কে টিউলিপের আগের বক্তব্য পরিবর্তন হয়েছে। তিনি ত্রুটি বুঝতে পেরেই যে সাংবাদিক আগে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন তাকে বিষয়টি জানাতে চেয়েছেন।’

কেকে