শুরু হয়েছে শীতকাল। এ সময়ে ত্বকে জড়তা দেখা দেয়। ত্বকের জড়তা দূর করে লাবণ্য পেতে চাই ভালো কিছু উপাদান। আর সেটি হতে পারে কমলালেবু। কমলালেবু খেলে আপনার যেমন দেহের রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে, তেমনই ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরবে।
শীতকাল কমলালেবু ছাড়া অসম্পূর্ণ। খাবার টেবিল থেকে অফিসের ডেস্ক— সব জায়গায় কমলালেবুর দেখা পাবেন। এই মৌসুমে কমলালেবু খেলে লাভ আপনারই। এটি দেহে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে কমলালেবু খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয় ত্বকের। শীতকালে নিখুঁত ত্বক পেতে ডায়েটে কমলালেবু রাখা চাই।
কমলালেবু খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। ত্বকের যে কোনো দাগছোপকে হালকা করে দেয় কমলালেবু। ডার্ক সার্কেল হোক বা ব্রণের দাগ— নিয়মিত কমলালেবু খেলে এসব ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। কমলালেবুর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে সংক্রমণ ও প্রদাহের হাত থেকে বাঁচায়। নিয়মিত কমলালেবু খেলে ত্বক সতেজ ও জেল্লাদার দেখাবে।
আর ত্বকের যত্নে কমলালেবু খাওয়ার মতো ভালো আর কিছু নেই। প্রতিদিন একটা করে কমলালেবু খেলেই ত্বকের জেল্লা বাড়বে। তবে আপনি চাইলে কমলালেবু রস দিয়ে ফেসপ্যাক, বডি স্ক্রাব কিংবা টোনার বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
কমলার ফেসপ্যাক:
এদিকে কমলালেবু খেলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কারণ কমলালেবুর মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ব্রণ ও ব্রেকআউটের সমস্যা কমে। ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে কমলালেবু। এই ফল ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা পরিষ্কার করে দেয়।
কমলালেবু খেয়ে ত্বকের বার্ধক্য রুখে দিতে পারেন। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এই পুষ্টি ত্বকে কোলাজেন নামের প্রোটিন গঠনে সাহায্য করে। এই কোলাজেন চামড়াকে টান টান রাখে এবং বলিরেখা প্রতিরোধে প্রধান ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বকের অকাল বার্ধক্যকে দূর করতে কমলালেবু খান।
আবার কমলালেবুর মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বক থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর জেরে যেমন ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়, তেমনই ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। একই সঙ্গে কমলালেবু রস ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এই ফলের মধ্যে ময়েশ্চারাইজ়িং উপাদান আছে। তাই কমলালেবু খেলে ত্বক অনেক বেশি নরম ও কোমল হয়ে ওঠে।
কেকে