ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’

ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান’ বা ‘ট্রুথ ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনজীবী, সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১১ সদস্যবিশিষ্ট ট্রুথ ফাইন্ডিং কমিটি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২ বছরে বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়িভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা চিহ্নিত করবেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, রুলস, রেগুলেশন ও সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এ সত্যানুসন্ধান কমিটি।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমদ, বুয়েটের পানি সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’

আপডেট সময় : ০৫:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান’ বা ‘ট্রুথ ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনজীবী, সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১১ সদস্যবিশিষ্ট ট্রুথ ফাইন্ডিং কমিটি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২ বছরে বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়িভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা চিহ্নিত করবেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, রুলস, রেগুলেশন ও সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এ সত্যানুসন্ধান কমিটি।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমদ, বুয়েটের পানি সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

কেকে