ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে? তজুমুদ্দিন উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের সহযোগী সামিয়া গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা বকশীগঞ্জে বহাল তবিয়তে স্বৈরাচারের দোসর সোহানুর রহমান: জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের ডাক বৈঠক শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আমির খসরু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা সরকার আইসিটি খাতের টেকসই ভিত্তি গড়তে কাজ করছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করল ইরান শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’

ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান’ বা ‘ট্রুথ ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনজীবী, সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১১ সদস্যবিশিষ্ট ট্রুথ ফাইন্ডিং কমিটি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২ বছরে বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়িভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা চিহ্নিত করবেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, রুলস, রেগুলেশন ও সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এ সত্যানুসন্ধান কমিটি।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমদ, বুয়েটের পানি সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’

আপডেট সময় : ০৫:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ‘সত্যানুসন্ধান’ বা ‘ট্রুথ ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনজীবী, সাংবাদিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ১১ সদস্যবিশিষ্ট ট্রুথ ফাইন্ডিং কমিটি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২ বছরে বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, বাড়িভাড়া, গাড়ি ব্যবহার, প্রকাশনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা চিহ্নিত করবেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রকার আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলে তা চিহ্নিত করা হবে। প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, রুলস, রেগুলেশন ও সরকারি বিধি-বিধান লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত করবে এ সত্যানুসন্ধান কমিটি।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান মামুন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবদাল আহমদ, বুয়েটের পানি সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁঞা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমানুল্লাহ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

কেকে