ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিরূপ নদীভাঙন

ছবিঃ আজকের প্রবাহ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদীভাঙন বাংলাদেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় নদীগুলোতে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে নদীগুলোর তীর ভেঙে যাচ্ছে এবং এর ফলে হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের নদীগুলোতে বছরে প্রায় ৬০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার নদীতীর ভাঙন হচ্ছে। নদীভাঙনের ফলে প্রায় প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী এলাকা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, ফলে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয় যা নদীতীরের মাটি দুর্বল করে দেয়। এর ফলে নদীভাঙন আরও ত্বরান্বিত হয়। নদীভাঙনের ফলে শুধু বসতবাড়ি নয়, কৃষি জমি এবং রাস্তাঘাটও ধ্বংস হচ্ছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেমন নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প, বাঁধ নির্মাণ, এবং তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

তবে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল প্রয়োজন।

জান্নাতুন নাঈমা চাঁদনী

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিরূপ নদীভাঙন

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নদীভাঙন বাংলাদেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় নদীগুলোতে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে নদীগুলোর তীর ভেঙে যাচ্ছে এবং এর ফলে হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের নদীগুলোতে বছরে প্রায় ৬০০ থেকে ৯০০ কিলোমিটার নদীতীর ভাঙন হচ্ছে। নদীভাঙনের ফলে প্রায় প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী এলাকা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, ফলে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয় যা নদীতীরের মাটি দুর্বল করে দেয়। এর ফলে নদীভাঙন আরও ত্বরান্বিত হয়। নদীভাঙনের ফলে শুধু বসতবাড়ি নয়, কৃষি জমি এবং রাস্তাঘাটও ধ্বংস হচ্ছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। নদীভাঙন প্রতিরোধে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেমন নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্প, বাঁধ নির্মাণ, এবং তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

তবে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার কৌশল প্রয়োজন।

জান্নাতুন নাঈমা চাঁদনী