ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌদি আরবে তিন খাতে কাজের সুযোগ কমছে প্রবাসীদের বছরে দু’বার এই ওষুধ নিলে শরীরে বাসা বাঁধবে না এইচআইভি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ নন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা হোয়াটসঅ্যাপে সব আনরিড মেসেজ যেভাবে দেখবেন ২৯ জুলাই শুরু হচ্ছে জাতীয় কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই: আমির খসরু জুলাই সনদের খসড়া তৈরি, কালকের মধ্যে সব দলকে পাঠানো হবে: আলী রীয়াজ শুল্ক আলোচনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা গণযোগাযোগ অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগ, আবেদন অনলাইন

স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে রোববার (২৭ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘হেপাটাইটিস : লেটস্ ব্রেক ইট ডাউন’, যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লিভার রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়া এবং নানা কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে লিভারজনিত রোগের প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে সময়মতো চিকিৎসা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ সেবা দেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সৌদি আরবে তিন খাতে কাজের সুযোগ কমছে প্রবাসীদের

স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে রোববার (২৭ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘হেপাটাইটিস : লেটস্ ব্রেক ইট ডাউন’, যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, লিভার রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, সময়মতো চিকিৎসা না নেওয়া এবং নানা কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে লিভারজনিত রোগের প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে সময়মতো চিকিৎসা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ সেবা দেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি এবং নাগরিক সমাজসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।

কেকে