ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইনডাকশন পদ্ধতিতে কমবে সিজারিয়ান সেকশন : প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীদের পিএসসির জরুরি নির্দেশনা কিছু দল পণ করেছে, পিআর না দিলে নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল জুলাই সনদের খসড়া অসম্পূর্ণ, কিছু অংশ বিপজ্জনক : জামায়াত একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বান প্রতীকী মূল্যে কাউকে সরকারি সম্পত্তি দেওয়া হবে না : অর্থ উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : চীন রাষ্ট্রদূত ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ কোনো পক্ষবিরোধী জোট নয় : চীন রাষ্ট্রদূত সংস্কার গভীর না হলে আবারও স্বৈরাচার ফেরত আসবে : প্রধান উপদেষ্টা তিন প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটলে আবারও জাতীয় বিপর্যয় ঘটতে পারে: জামায়াত আমির

সংস্কার গভীর না হলে আবারও স্বৈরাচার ফেরত আসবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস । ছবিঃ সংগৃহীত

সংস্কার গভীর না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধু কয়েকটা কাগজের সংস্কার নয়, মনের গভীরতর জায়গার সংস্কার করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়, গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই গভীরতম পরিবর্তন যদি না করি, যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আজ আমরা কথা বলছি, আবার ঘুরেফিরে সে চলে আসবে—যতই আমরা সামাল দিই, যতই সংস্কার করি। আমাদের আরও গভীরের সংস্কার দরকার। এই সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনো নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস করা না যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান করা যে রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে।

আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইনডাকশন পদ্ধতিতে কমবে সিজারিয়ান সেকশন : প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা

সংস্কার গভীর না হলে আবারও স্বৈরাচার ফেরত আসবে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

সংস্কার গভীর না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধু কয়েকটা কাগজের সংস্কার নয়, মনের গভীরতর জায়গার সংস্কার করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়, গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই গভীরতম পরিবর্তন যদি না করি, যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আজ আমরা কথা বলছি, আবার ঘুরেফিরে সে চলে আসবে—যতই আমরা সামাল দিই, যতই সংস্কার করি। আমাদের আরও গভীরের সংস্কার দরকার। এই সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনো নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস করা না যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান করা যে রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।

রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করে।

আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি বাংলাদেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

কেকে