ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার রকেটে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাল ইরান

ইরানের তৈরি নাহিদ-২ স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ভোস্তোচনি কসমোড্রোম থেকে রুশ সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

ইরান স্পেস এজেন্সি ও ইরান স্পেস রিসার্চ সেন্টারের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত এ গবেষণা ও টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইটটি একটি বহুজাতিক মহাকাশ মিশনের অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিশনটিতে রাশিয়ার ‘আইনোসফেরা-এম৩’ এবং ‘এম৪’ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২০টি স্যাটেলাইট অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এর আগে রাশিয়ার সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে ইরানের খায়য়াম, পার্স-১ এবং হোধান স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।

নাহিদ-২ পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ বছর মহাকাশে অবস্থান করবে। দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ মিশনে এক বড় চ্যালেঞ্জ হলো কক্ষপথ থেকে ধীরে ধীরে স্যাটেলাইটের বিচ্যুতি-যা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা সমাধানে নাহিদ-২ তে সংযুক্ত করা হয়েছে সম্পূর্ণ ইরানীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত একটি প্রপালশন সিস্টেম, যা স্যাটেলাইটকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা পরিবর্তনের সক্ষম করেছে।

ইরান-নির্মিত প্রপালশন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়েছে হট গ্যাস থ্রাস্টার, কম্পোজিট ফুয়েল ট্যাঙ্ক, উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রক ভালভ এবং অত্যন্ত নিখুঁত কন্ট্রোল থ্রাস্টার। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব উন্নত উপাদান সহজলভ্য না হওয়ায় ইরানি প্রকৌশলীরা সেগুলো স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবন ও উৎপাদন করেছেন।

প্রপালশন সিস্টেম ছাড়াও স্যাটেলাইটটির তাপ নিয়ন্ত্রণ ও তাপ পরিবাহিতার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত পলিমার-ভিত্তিক কোটিং ও স্পেস-গ্রেড অ্যাডহেসিভ। এসব উপাদান স্যাটেলাইটের ইঞ্জিন ও বহিরাবরণে কার্যকরভাবে কাজ করে।

নাহিদ-২ এর আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর শক্তিশালী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলো ইরানে তৈরি এবং সেগুলো কয়েক হাজার চার্জ-ডিসচার্জ সাইকেল অতিক্রম করার মতো সক্ষম।

সূত্র: মেহের নিউজ

কেকে

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাশিয়ার রকেটে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাল ইরান

আপডেট সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

ইরানের তৈরি নাহিদ-২ স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। শুক্রবার রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ভোস্তোচনি কসমোড্রোম থেকে রুশ সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

ইরান স্পেস এজেন্সি ও ইরান স্পেস রিসার্চ সেন্টারের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত এ গবেষণা ও টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইটটি একটি বহুজাতিক মহাকাশ মিশনের অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিশনটিতে রাশিয়ার ‘আইনোসফেরা-এম৩’ এবং ‘এম৪’ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ২০টি স্যাটেলাইট অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এর আগে রাশিয়ার সয়ুজ রকেটের মাধ্যমে ইরানের খায়য়াম, পার্স-১ এবং হোধান স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।

নাহিদ-২ পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ বছর মহাকাশে অবস্থান করবে। দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ মিশনে এক বড় চ্যালেঞ্জ হলো কক্ষপথ থেকে ধীরে ধীরে স্যাটেলাইটের বিচ্যুতি-যা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা সমাধানে নাহিদ-২ তে সংযুক্ত করা হয়েছে সম্পূর্ণ ইরানীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত একটি প্রপালশন সিস্টেম, যা স্যাটেলাইটকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা পরিবর্তনের সক্ষম করেছে।

ইরান-নির্মিত প্রপালশন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়েছে হট গ্যাস থ্রাস্টার, কম্পোজিট ফুয়েল ট্যাঙ্ক, উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রক ভালভ এবং অত্যন্ত নিখুঁত কন্ট্রোল থ্রাস্টার। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব উন্নত উপাদান সহজলভ্য না হওয়ায় ইরানি প্রকৌশলীরা সেগুলো স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবন ও উৎপাদন করেছেন।

প্রপালশন সিস্টেম ছাড়াও স্যাটেলাইটটির তাপ নিয়ন্ত্রণ ও তাপ পরিবাহিতার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত পলিমার-ভিত্তিক কোটিং ও স্পেস-গ্রেড অ্যাডহেসিভ। এসব উপাদান স্যাটেলাইটের ইঞ্জিন ও বহিরাবরণে কার্যকরভাবে কাজ করে।

নাহিদ-২ এর আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর শক্তিশালী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলো ইরানে তৈরি এবং সেগুলো কয়েক হাজার চার্জ-ডিসচার্জ সাইকেল অতিক্রম করার মতো সক্ষম।

সূত্র: মেহের নিউজ

কেকে