ইরানের বিরুদ্ধে ফের সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্বীকার করেছেন, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলো গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার এই মন্তব্যের পরপরই ট্রাম্প জানান, প্রয়োজনে ওয়াশিংটন আবারও একই ধরনের হামলা চালাবে।
সোমবার রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, আমাদের হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি শুরু থেকেই বলছিলাম, এটি অত্যন্ত সফল অভিযান ছিল। প্রয়োজন হলে আমরা আবারও সেটাই করব।’
এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প সমালোচনা করেন সিএনএন-এরও। তিনি বলেন, ‘সিএনএন সম্প্রতি দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। অথচ গোয়েন্দা তথ্য এবং বাস্তব পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা।’ তিনি সিএনএনের এক প্রতিবেদককে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে লেখেন, ‘ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য সিএনএনের উচিত সেই সাংবাদিককে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা এবং আমার সঙ্গে সেই মহান পাইলটদের কাছে ক্ষমা চাওয়া, যারা এই ঐতিহাসিক মিশনে অংশ নিয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, এই হামলার পর ইরানের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় ধরনের ক্ষতির কথা স্বীকার করা হলো। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি বলেন, ‘সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ ক্ষতির পরিমাণ ছিল ব্যাপক। তবে আমরা এটি কখনোই স্থায়ীভাবে ত্যাগ করতে পারি না। এটা আমাদের বিজ্ঞানীদের অর্জন, তার চেয়েও বড় কথা—এটা আমাদের জাতীয় গর্বের প্রতীক।’
দ্য টাইমস অব ইসরাইল জানায়, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে বড় ধাক্কা দেয়। তবে তেহরান এখনও তাদের অবস্থানে অনড়। তাদের ভাষ্য, জাতীয় স্বার্থ ও বিজ্ঞানীদের মর্যাদার প্রশ্নে তারা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প চালিয়েই যাবে।
এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
কেকে