ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিকটক কিনতে চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক–এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার মালিকানা কিনতে ফের আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার প্রতিনিধির সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,‘সোমবার বা মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি কিংবা তার কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসব। আমাদের চুক্তির অবস্থান অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

ট্রাম্প আরও জানান, আলোচনার প্রয়োজনে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসেই দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স–কে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র অংশ বিক্রি করতে হবে, অন্যথায় অ্যাপটি মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি চূড়ান্ত করতে চীনের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী না হলেও বিশ্বাস করি এটা সম্ভব। প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এই চুক্তি শুধু আমাদের নয়, চীনের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

টিকটকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর। তখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট তার নিষেধাজ্ঞাকে বহাল রাখে। পরবর্তীতে আরও দুটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়—একটি এপ্রিলে, আরেকটি গত জুনে। এর ফলে চূড়ান্ত সময়সীমা এখন ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

চলতি বসন্তে আলোচনা হচ্ছিল টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি স্বতন্ত্র মার্কিন কোম্পানিতে রূপান্তর করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা হস্তান্তর হতো যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছে। কিন্তু ট্রাম্প যখন চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন বেইজিং আপত্তি তোলে এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

টিকটকের মার্কিন বাজারে ভবিষ্যৎ এখন চূড়ান্ত আলোচনার ওপর নির্ভর করছে। চুক্তি সফল হলে এটি হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বড় কৌশলগত জয়—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টিকটক কিনতে চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১০:৫০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

চীনা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক–এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার মালিকানা কিনতে ফের আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বা তার প্রতিনিধির সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,‘সোমবার বা মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি কিংবা তার কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসব। আমাদের চুক্তির অবস্থান অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

ট্রাম্প আরও জানান, আলোচনার প্রয়োজনে তিনি নিজে চীন সফর করতে পারেন কিংবা শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন। গত মাসেই দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স–কে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র অংশ বিক্রি করতে হবে, অন্যথায় অ্যাপটি মার্কিন বাজারে নিষিদ্ধ হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি চূড়ান্ত করতে চীনের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। আমি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী না হলেও বিশ্বাস করি এটা সম্ভব। প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এই চুক্তি শুধু আমাদের নয়, চীনের জন্যও ইতিবাচক হবে।’

টিকটকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশ জারি করেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার তিন দিন পর। তখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট তার নিষেধাজ্ঞাকে বহাল রাখে। পরবর্তীতে আরও দুটি নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়—একটি এপ্রিলে, আরেকটি গত জুনে। এর ফলে চূড়ান্ত সময়সীমা এখন ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

চলতি বসন্তে আলোচনা হচ্ছিল টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখাকে একটি স্বতন্ত্র মার্কিন কোম্পানিতে রূপান্তর করার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা হস্তান্তর হতো যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের কাছে। কিন্তু ট্রাম্প যখন চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তখন বেইজিং আপত্তি তোলে এবং আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

টিকটকের মার্কিন বাজারে ভবিষ্যৎ এখন চূড়ান্ত আলোচনার ওপর নির্ভর করছে। চুক্তি সফল হলে এটি হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি বড় কৌশলগত জয়—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে।

কেকে