ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীরে ট্যাটু আঁকা নিয়ে ইসলামের ভাষ্য কী?

ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন: আমার হাত, পা, পিঠ ও পেটে বেশ কয়েকটি ট্যাটু বা উল্কি আঁকা রয়েছে। ইউটিউবে এক বয়ানে শুনলাম-এসব নাকি হারাম। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের সুস্পষ্ট ভাষ্য জানতে চাই?

উত্তর: শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা জায়েজ নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) উল্কি অঙ্কন করতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি, ৫৪০৮)

আরেক হাদিসে আবু জুহাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) উল্কি অঙ্কনকারিণী, উল্কি গ্রহণকারিণী, সুদগ্রহীতা ও সুদদাতার ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (সহিহ বুখারি, ৫৩৪৭)

অতএব, শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা হারাম ও কবিরা গুনাহ। অধিকন্তু ট্যাটু আঁকার ফলে যে আবরণ সৃষ্টি হয়, তা ওজু-গোসলে শরীরে পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

তাই একজন মুসলিমের জন্য কোনোভাবেই শরীরে ট্যাটু আঁকা জায়েজ হবে না।

ইসলাম নারী-পুরুষের স্বাভাবিক রূপচর্চা অনুমোদন করে। স্বাভাবিকভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়ার চেষ্টা করা, সুন্দর পোশাক-আশাক পরা জায়েজ তো বটেই, উত্তম কাজ বিবেচিত হয়।

কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি করা স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা যেমন দাঁত কেটে সরু করা, ভ্রু তুলে ফেলা, শরীরে উল্কি বা ট্যাটু আঁকা ইসলামে হারাম। রাসুল (সা.) এ সব রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন।

আপনার জন্য উচিত হলো এ উল্কিগুলো শরীর থেকে মুছে ফেলার ব্যবস্থা করা এবং আল্লাহর কাছে কায়মনে তাওবা করা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করবেন।

সূত্র: সহিহ মুসলিম, ২১২৪; শারহুন নাবাবি আলা সহিহ মুসলিম, ১৪/১০৬; উমদাতুল কারি, ১১/২০৪; রাদ্দুল মুহতার, ৬/৩৭৩।

কেকে

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীরে ট্যাটু আঁকা নিয়ে ইসলামের ভাষ্য কী?

আপডেট সময় : ০৯:৫১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

প্রশ্ন: আমার হাত, পা, পিঠ ও পেটে বেশ কয়েকটি ট্যাটু বা উল্কি আঁকা রয়েছে। ইউটিউবে এক বয়ানে শুনলাম-এসব নাকি হারাম। এ বিষয়ে ইসলামি শরিয়তের সুস্পষ্ট ভাষ্য জানতে চাই?

উত্তর: শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা জায়েজ নয়। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সা.) উল্কি অঙ্কন করতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি, ৫৪০৮)

আরেক হাদিসে আবু জুহাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) উল্কি অঙ্কনকারিণী, উল্কি গ্রহণকারিণী, সুদগ্রহীতা ও সুদদাতার ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (সহিহ বুখারি, ৫৩৪৭)

অতএব, শরীরে ট্যাটু বা উল্কি আঁকা হারাম ও কবিরা গুনাহ। অধিকন্তু ট্যাটু আঁকার ফলে যে আবরণ সৃষ্টি হয়, তা ওজু-গোসলে শরীরে পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

তাই একজন মুসলিমের জন্য কোনোভাবেই শরীরে ট্যাটু আঁকা জায়েজ হবে না।

ইসলাম নারী-পুরুষের স্বাভাবিক রূপচর্চা অনুমোদন করে। স্বাভাবিকভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়ার চেষ্টা করা, সুন্দর পোশাক-আশাক পরা জায়েজ তো বটেই, উত্তম কাজ বিবেচিত হয়।

কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি করা স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা যেমন দাঁত কেটে সরু করা, ভ্রু তুলে ফেলা, শরীরে উল্কি বা ট্যাটু আঁকা ইসলামে হারাম। রাসুল (সা.) এ সব রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন।

আপনার জন্য উচিত হলো এ উল্কিগুলো শরীর থেকে মুছে ফেলার ব্যবস্থা করা এবং আল্লাহর কাছে কায়মনে তাওবা করা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করবেন।

সূত্র: সহিহ মুসলিম, ২১২৪; শারহুন নাবাবি আলা সহিহ মুসলিম, ১৪/১০৬; উমদাতুল কারি, ১১/২০৪; রাদ্দুল মুহতার, ৬/৩৭৩।

কেকে