ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে কীভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।

সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি এই মন্তব্য করেন।

সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাতে প্রকাশিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ‘বাস্তব সমাপ্তি’ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিস্তারিত জানাতে হবে ‘কীভাবে ও কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে’ সেগুলো তুলে নেওয়া হবে।

বাঘায়ি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমেরিকান পক্ষ এখনও প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা প্রদান করেনি।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখবে।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ প্রস্তাব জমা দেওয়ার দাবি করার পর-এমন মন্তব্য করলেন।

জাতিসংঘের একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৯০ শতাংশের নিচে হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৪ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।

বাঘায়ি ওই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উড়িয়ে দেন। বলেন, কিছু পশ্চিমা দেশ জাতিসংঘের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে তারা ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস উদ্ধৃত সরকারি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক মার্কিন প্রস্তাবে ইরানের সব ধরনের সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদিও তেহরান হোয়াইট হাউজের ‘ইরানের স্বার্থ উপযোগী’ বলা ওই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বলেছে এখনও বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বাঘায়ি বলেন, ‘কোনও একটি লেখা পাওয়া মানে এটি গ্রহণ করা নয়। এমনকি এটি গ্রহণযোগ্য বলেও ধরে নেওয়া যায় না।’

রয়টার্স একটি অজ্ঞাতনামা ইরানি কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, তেহরান ‘মার্কিন প্রস্তাবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া খসড়া করছে’, যা প্রত্যাখ্যান হিসেবেও গণ্য হতে পারে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি ‘অগ্রহণযোগ্য’। কারণ এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান নরম করেনি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ‘সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা’ দেয়নি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চার দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে কীভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।

সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি এই মন্তব্য করেন।

সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাতে প্রকাশিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ‘বাস্তব সমাপ্তি’ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিস্তারিত জানাতে হবে ‘কীভাবে ও কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে’ সেগুলো তুলে নেওয়া হবে।

বাঘায়ি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমেরিকান পক্ষ এখনও প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা প্রদান করেনি।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখবে।

কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ প্রস্তাব জমা দেওয়ার দাবি করার পর-এমন মন্তব্য করলেন।

জাতিসংঘের একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৯০ শতাংশের নিচে হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৪ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।

বাঘায়ি ওই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে উড়িয়ে দেন। বলেন, কিছু পশ্চিমা দেশ জাতিসংঘের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে তারা ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস উদ্ধৃত সরকারি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক মার্কিন প্রস্তাবে ইরানের সব ধরনের সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

যদিও তেহরান হোয়াইট হাউজের ‘ইরানের স্বার্থ উপযোগী’ বলা ওই প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা বলেছে এখনও বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বাঘায়ি বলেন, ‘কোনও একটি লেখা পাওয়া মানে এটি গ্রহণ করা নয়। এমনকি এটি গ্রহণযোগ্য বলেও ধরে নেওয়া যায় না।’

রয়টার্স একটি অজ্ঞাতনামা ইরানি কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, তেহরান ‘মার্কিন প্রস্তাবের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া খসড়া করছে’, যা প্রত্যাখ্যান হিসেবেও গণ্য হতে পারে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি ‘অগ্রহণযোগ্য’। কারণ এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান নরম করেনি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ‘সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা’ দেয়নি।

কেকে