ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’! সিএনজি পাম্পে গ্যাস নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চালকের মৃত্যু বিএনপি’র দুর্দিনে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোঃ রাজন আলী গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য: মৎস্য উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি : সেনাসদর বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর: তারেক রহমান ভালো আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না : এবি পার্টি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হয়: নেতানিয়াহু

মতলব উত্তরে মেশিনে ধান কাটা শতক প্রতি ৯০ টাকা নির্ধারিত

ছবি : সংগৃহীত

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শতক প্রতি কম্বাইন হারভেস্টার এর মাধ্যমে শতক প্রতি ৯০ টাকা একরে ৯০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় আজ রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনির সভাপতিত্বে উপজেলার কৃষক প্রতিনিধি ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মালিকদের উপস্থিতিতে এই রেট নির্ধারণ করা হয়।

জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মেশিনে অতিরিক্ত দামে ধান কাটার অভিযোগ আসছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি অফিসার এর আহবানে এ সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় হারভেস্টার মালিকদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্যে মেহেদী হাসান লিটন জানান, একদিকে মেশিনের পার্টসের দাম অত্যধিক ভাবে বৃদ্ধি এই এলাকায় সহজলভ্যতার অভাব অন্যদিকে এই উপজেলায় সারাবছরে একমৌসুম হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটার সুযোগ থাকার ফলে আমরা ভর্তুকি মূল্যে মেশিন নিয়ে ও লাভ তো দূরের কথা মূলধনই তুলতে পারছি না। আমরা সঠিক সময়ে কিস্তি দিতে না পাড়ায় এখন কোম্পানিগুলো উচ্চ সুদ নির্ধারণ করেছে। আমরা এখন দিশে হারা। তিনি আরো জানান এই এলাকায় জমির আকার ক্ষুদ্রাকৃতি ও এলোমেলো বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ এর কারণে একই সাথে অনেক জমিতে ধান কাটতে না পারি না। ফলে অল্প অল্প জমিতে ধান কাটায় জ্বালানী খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওয়াপদা থেকে পানি না পাওয়ায় কৃষকরা একই সাথে ধান রোপণ করতে পারে না। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য মাত্রা পূরণে সক্ষম হই না।

এছাড়া উপস্থিত অন্যান্য হারভেস্টার মালিকগন বলেন, আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ১১০ টাকা শতাংশ দাবি করলেও তারা প্রকৃত জমির পরিমাণ কম দেখিয়ে আমাদের গড়ে ৭০ -৮০ টাকা শতাংশ প্রতি ধরিয়ে দেন। একদিকে মেশিনের পার্টসের দাম ড্রাইভার এর মজুরি বৃদ্বি একই মাঠে একই সাথে পর্যাপ্ত জমির অভাব অন্য দিকে দাম কম দেওয়ার ফলে আমরা মেশিন কিনে এখন হতাশ।

এদিকে কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ এর সভাপতি মো: আতাউর রহমান সরকার, সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আল মামুন, অর্থ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান রনি, সাংগঠনিক রিয়াদ প্রধান, কার্যকরী সদস্য মো: সোহেল সরকার।

উদ্যোক্তারা জানান, বর্তমানে সার, ঔষধ, জমির লিজ খরচ, লেবারের দাম বৃদ্ধির তুলনায় ধানের দাম বাড়ে নি।ফলে অতিরিক্ত দামে ধান কাটার রেট নির্ধারণ করলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। গতবছরকে ফলো করে আগের দামেই ধান কাটার রেট নির্ধারণ করা হোক। আমাদের দাবি সর্বোচ্চ ৯০ টাকা শতাংশ নির্ধারণ করা হোক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, কৃষকদের দাবি অনুযায়ী এবছরের জন্য আগের দামেই শতাংশ প্রতি ৯০ টাকা ধান কেটে কৃষকদের সহযোগিতা করুন। পরবর্তীতে যদি আপনাদের না পোষায় তাহলে আগামীতে আবার আলোচনা সাপেক্ষ দাম নির্ধারণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, মতলব উত্তরে ১৬ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার থাকলেও ৬ টি অকার্যকর থাকার ফলে এ মৌসুমে ১০ টি মেশিন দ্বারা ৯৯৮৪ হেক্টর জমির বোরোধান কাটা হবে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’!

মতলব উত্তরে মেশিনে ধান কাটা শতক প্রতি ৯০ টাকা নির্ধারিত

আপডেট সময় : ১০:২০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শতক প্রতি কম্বাইন হারভেস্টার এর মাধ্যমে শতক প্রতি ৯০ টাকা একরে ৯০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় আজ রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনির সভাপতিত্বে উপজেলার কৃষক প্রতিনিধি ও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মালিকদের উপস্থিতিতে এই রেট নির্ধারণ করা হয়।

জানা যায়, গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মেশিনে অতিরিক্ত দামে ধান কাটার অভিযোগ আসছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি অফিসার এর আহবানে এ সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় হারভেস্টার মালিকদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্যে মেহেদী হাসান লিটন জানান, একদিকে মেশিনের পার্টসের দাম অত্যধিক ভাবে বৃদ্ধি এই এলাকায় সহজলভ্যতার অভাব অন্যদিকে এই উপজেলায় সারাবছরে একমৌসুম হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটার সুযোগ থাকার ফলে আমরা ভর্তুকি মূল্যে মেশিন নিয়ে ও লাভ তো দূরের কথা মূলধনই তুলতে পারছি না। আমরা সঠিক সময়ে কিস্তি দিতে না পাড়ায় এখন কোম্পানিগুলো উচ্চ সুদ নির্ধারণ করেছে। আমরা এখন দিশে হারা। তিনি আরো জানান এই এলাকায় জমির আকার ক্ষুদ্রাকৃতি ও এলোমেলো বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ এর কারণে একই সাথে অনেক জমিতে ধান কাটতে না পারি না। ফলে অল্প অল্প জমিতে ধান কাটায় জ্বালানী খরচ বেড়ে যায়। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওয়াপদা থেকে পানি না পাওয়ায় কৃষকরা একই সাথে ধান রোপণ করতে পারে না। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য মাত্রা পূরণে সক্ষম হই না।

এছাড়া উপস্থিত অন্যান্য হারভেস্টার মালিকগন বলেন, আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ১১০ টাকা শতাংশ দাবি করলেও তারা প্রকৃত জমির পরিমাণ কম দেখিয়ে আমাদের গড়ে ৭০ -৮০ টাকা শতাংশ প্রতি ধরিয়ে দেন। একদিকে মেশিনের পার্টসের দাম ড্রাইভার এর মজুরি বৃদ্বি একই মাঠে একই সাথে পর্যাপ্ত জমির অভাব অন্য দিকে দাম কম দেওয়ার ফলে আমরা মেশিন কিনে এখন হতাশ।

এদিকে কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যোক্তা পরিষদ এর সভাপতি মো: আতাউর রহমান সরকার, সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আল মামুন, অর্থ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান রনি, সাংগঠনিক রিয়াদ প্রধান, কার্যকরী সদস্য মো: সোহেল সরকার।

উদ্যোক্তারা জানান, বর্তমানে সার, ঔষধ, জমির লিজ খরচ, লেবারের দাম বৃদ্ধির তুলনায় ধানের দাম বাড়ে নি।ফলে অতিরিক্ত দামে ধান কাটার রেট নির্ধারণ করলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। গতবছরকে ফলো করে আগের দামেই ধান কাটার রেট নির্ধারণ করা হোক। আমাদের দাবি সর্বোচ্চ ৯০ টাকা শতাংশ নির্ধারণ করা হোক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, কৃষকদের দাবি অনুযায়ী এবছরের জন্য আগের দামেই শতাংশ প্রতি ৯০ টাকা ধান কেটে কৃষকদের সহযোগিতা করুন। পরবর্তীতে যদি আপনাদের না পোষায় তাহলে আগামীতে আবার আলোচনা সাপেক্ষ দাম নির্ধারণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, মতলব উত্তরে ১৬ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার থাকলেও ৬ টি অকার্যকর থাকার ফলে এ মৌসুমে ১০ টি মেশিন দ্বারা ৯৯৮৪ হেক্টর জমির বোরোধান কাটা হবে।

এমএস