‘এটা ব্ল্যাকমেইল। ’ ঠিক এভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সবশেষ হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেইজিং। সেইসঙ্গে তারা অন্যায্য শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই করার অঙ্গীকার করেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের উপর ঘোষিত ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য বেইজিংকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে যদি কোনও পক্ষই পিছু না হটে এবং ট্রাম্প তার পরিকল্পনায় অটল থাকে, তাহলে এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা চীনা পণ্য ১০৪ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন হতে পারে, যা দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধির মার্কিন হুমকি এক ভুলের ওপরে আরেকটি ভুল, যা আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকমেইলিং প্রকৃতিকে প্রকাশ করে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র তার পথে থাকার জন্য জেদ করে, তবে চীন শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ’
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চায়। আর বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই জয়ী হয় না।
চীনের কৌশল
চীনের এই কৌশল দেশটির সরকারের যুক্তরাষ্ট্রের ‘একতরফা হুমকির’ বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তি হিসেবে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলেই তৈরি। সপ্তাহান্তে, বেইজিং বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা বাণিজ্য যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।
ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলিকে বলেছে, ‘মার্কিন শুল্কের প্রভাব (চীনের ওপর) পড়বে, কিন্তু ‘আকাশ ভেঙে পড়বে না।’
মুখপত্র আরও বলেছেন, ‘২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র (প্রথম) বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে -তারা যেভাবেই লড়াই করুক বা চাপ প্রয়োগ করুক না কেন – আমরা স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে উন্নয়ন এবং অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছি – ‘আমরা যত বেশি চাপে পড়ব, তত বেশি শক্তিশালী হবো। ’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
কেকে