জুবায়ের, উত্তরা ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি:
সাম্প্রতিক দেশে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে ধর্ষণ নারী নিপীড়ন। ধর্ষকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ২ টার সময় উত্তরা ইউনিভার্সিটির মূল ফটকের সামনে এই মানব বন্ধনের আয়োজন করে। এতে ধর্ষকদের দ্রুত বিচার করা প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করি এবং নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে? আমি কে? আছিয়া! আছিয়া!, আছিয়ার কান্না আর না, আর না! আমার বোন ধর্ষিতা কেন? বিচার চাই, বিচার চাই!, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই!, ধর্ষকদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না!’ নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। শুধু মাগুরায় নয়, ৫ আগস্টের পর থেকে সারা দেশেই ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েচলেছে। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি।আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিক এবং ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে । তাহলে আর কেউ ধর্ষণের সাহস পাবে না।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন সফল হয়েছে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। আজ আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমকে ব্যথিত করে যখন শুনতে হয় ৫,৮ বছরের শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের রাস্তাঘাটে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলব দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এমএস