ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৩তম কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিদায় সংবর্ধনা রাবি প্রেসক্লাবের

ছবি : সংগৃহীত

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের ৩৩ তম কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মরত সাবেক ৬ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবি প্রেসক্লাব।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাবি প্রেসক্লাব নিজস্ব কার্যালয়ে ৩৪তম কার্যনির্বাহী কমিটি উদ্যোগে এ বিদায় সংবর্ধনাটির আয়োজন করা হয়।

বিদায়প্রাপ্ত ৬ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক হলেন, রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি কামরুল হাসান অভি, সাবেক সহ-সভাপতি ওবাইদুল্লাহ রকি (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি) ও মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু (ডেইলি সান), সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল ইসলাম তুহিন, সাবেক
কোষাধ্যক্ষ শোয়াইব শুভ (দ্য বাংলাদেশ এক্সপ্রেস) এবং সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিক আদনান (দৈনিক যায়যায়দিন)।

বিদায় সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ইসলাম তুহিন বলেন, “সাংবাদিকতা পেশাটা জুলাই বিপ্লবের আগের সময়ে অনেক চ্যালেঞ্জিং পেশা ছিলো, অনেক হুমকি ও চাপের মুখোমুখিও হতে হয়েছে বিভিন্ন সময়। সাহসের সাথে তা মোকাবেলা করে এ সাংবাদিকতা করতে হয়েছে কারণ  সাংবাদিকতার শিখিয়েছে সাহসী হতে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রেসক্লাব একটা পরিবার। যে এটা আপন করতে পারবে সেই বুঝতে পারবে বিষয়টা। প্রেসক্লাব কখনো কোনো সত্য প্রকাশে আপোষ করেনি। “আমরা নির্ভীক সত্য লিখবোই” এই ধারা বজায় রেখে প্রেসক্লাব এগিয়ে যাবে অনেকদূর।”

এসময় সাবেক সহ-সভাপতি-২ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, “আজ বিদায় নিতে গেলে মনে হয়, কিছু দায় থেকেই যায় সাংবাদিকতায় আসার শুরুতে আমার মনে ভয় কাজ করত বিশেষ করে সংঘাতের আশঙ্কায়। কিন্তু সাংবাদিকতা এবং প্রেসক্লাব আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। হয়তো আমি ক্লাবকে খুব বেশি কিছু দিতে পারিনি, তবে ক্লাব থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। এই ক্লাব আমাকে যে সুবিধা দিয়েছে, তা অন্য কোনো সংগঠন থেকে পাইনি। এখানে যে শক্তিশালী সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়, সেটাও অন্য কোথাও গড়ে ওঠে না। আমার বিশ্বাস কেউ যদি শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে প্রেসক্লাবের সাথে এবং কঠোর পরিশ্রম করে, তাহলে অবশ্যই ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারবে।”

স্মৃতিচারণ শেষে বিদায়ী সাংবাদিকদের
ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়।

সমাপনী বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি জোবায়ের জামিল বলেন, “আমাদের অনেক স্মৃতি আছে প্রেসক্লাবকে ঘিরে। প্রেসক্লাবে আমার বন্ধুরা আজ বিদায় নিচ্ছে আমাকেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিদায় নিয়ে সাবেকের খাতায় নাম লেখাতে হবে এটা আমি এখনই অনুভব করতে পারছি। প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইদের থেকে অনেক কিছুই শিখেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “কাজের প্রতি একাগ্রতা” এটা আমি অনেক ভালোভাবে তাদের থেকে শিখতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, ‘আমরা নির্ভীক সত্য লিখবোই’ স্লোগানে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, জাতীয় দিবস পালন, ক্যারিয়ার কর্মশালা ও চিত্তবিনোদনের আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৩৩তম কার্যনির্বাহী কমিটিকে বিদায় সংবর্ধনা রাবি প্রেসক্লাবের

আপডেট সময় : ১১:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের ৩৩ তম কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মরত সাবেক ৬ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবি প্রেসক্লাব।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় রাবি প্রেসক্লাব নিজস্ব কার্যালয়ে ৩৪তম কার্যনির্বাহী কমিটি উদ্যোগে এ বিদায় সংবর্ধনাটির আয়োজন করা হয়।

বিদায়প্রাপ্ত ৬ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক হলেন, রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার প্রতিনিধি কামরুল হাসান অভি, সাবেক সহ-সভাপতি ওবাইদুল্লাহ রকি (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি) ও মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু (ডেইলি সান), সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল ইসলাম তুহিন, সাবেক
কোষাধ্যক্ষ শোয়াইব শুভ (দ্য বাংলাদেশ এক্সপ্রেস) এবং সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিক আদনান (দৈনিক যায়যায়দিন)।

বিদায় সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল ইসলাম তুহিন বলেন, “সাংবাদিকতা পেশাটা জুলাই বিপ্লবের আগের সময়ে অনেক চ্যালেঞ্জিং পেশা ছিলো, অনেক হুমকি ও চাপের মুখোমুখিও হতে হয়েছে বিভিন্ন সময়। সাহসের সাথে তা মোকাবেলা করে এ সাংবাদিকতা করতে হয়েছে কারণ  সাংবাদিকতার শিখিয়েছে সাহসী হতে।”

তিনি আরো বলেন, “প্রেসক্লাব একটা পরিবার। যে এটা আপন করতে পারবে সেই বুঝতে পারবে বিষয়টা। প্রেসক্লাব কখনো কোনো সত্য প্রকাশে আপোষ করেনি। “আমরা নির্ভীক সত্য লিখবোই” এই ধারা বজায় রেখে প্রেসক্লাব এগিয়ে যাবে অনেকদূর।”

এসময় সাবেক সহ-সভাপতি-২ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, “আজ বিদায় নিতে গেলে মনে হয়, কিছু দায় থেকেই যায় সাংবাদিকতায় আসার শুরুতে আমার মনে ভয় কাজ করত বিশেষ করে সংঘাতের আশঙ্কায়। কিন্তু সাংবাদিকতা এবং প্রেসক্লাব আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। হয়তো আমি ক্লাবকে খুব বেশি কিছু দিতে পারিনি, তবে ক্লাব থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। এই ক্লাব আমাকে যে সুবিধা দিয়েছে, তা অন্য কোনো সংগঠন থেকে পাইনি। এখানে যে শক্তিশালী সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়, সেটাও অন্য কোথাও গড়ে ওঠে না। আমার বিশ্বাস কেউ যদি শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে প্রেসক্লাবের সাথে এবং কঠোর পরিশ্রম করে, তাহলে অবশ্যই ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারবে।”

স্মৃতিচারণ শেষে বিদায়ী সাংবাদিকদের
ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়।

সমাপনী বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি জোবায়ের জামিল বলেন, “আমাদের অনেক স্মৃতি আছে প্রেসক্লাবকে ঘিরে। প্রেসক্লাবে আমার বন্ধুরা আজ বিদায় নিচ্ছে আমাকেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিদায় নিয়ে সাবেকের খাতায় নাম লেখাতে হবে এটা আমি এখনই অনুভব করতে পারছি। প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইদের থেকে অনেক কিছুই শিখেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “কাজের প্রতি একাগ্রতা” এটা আমি অনেক ভালোভাবে তাদের থেকে শিখতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, ‘আমরা নির্ভীক সত্য লিখবোই’ স্লোগানে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, জাতীয় দিবস পালন, ক্যারিয়ার কর্মশালা ও চিত্তবিনোদনের আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।