ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিতে এমফিল-পিএইচডি গবেষকদের বরণ করে নিল আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

ছবি : সংগৃহীত

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

২০২৪-২৫ সেশনের পিএইচডি ও এমফিল ফেলোদের সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় আইবিএস’র সেমিনার কক্ষে নতুন ফেলোদের বরণ করে নেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

এসময় ২০২৪-২৫ সেশনের এমফিল ফেলো সৈয়দা জান্নাতুন সায়মা বলেন, “আমরা একটি স্বপ্ন নিয়ে রাবির আইবিএস ভর্তি হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে রাবির আইবিএস কাজ করে চলেছে, এখানকার গবেষকরা প্রতিনিয়ত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণা করে থাকে। আইবিএস’র শিক্ষকদের শেখানো পন্থা আমাদের পরবর্তী পথ চলাকে আরও সুগম করবে বলে আমি আশাবাদী। আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান-সাবেক ফেলোদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন। এমন আয়োজনের জন্য ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান এ শিক্ষার্থী”।

২০২৪-২৫ সেশনের পিএইচডি গবেষক (শ্রেনি প্রতিনিধি) মো. কামারুজ্জামান বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাঝে বুদ্ধিভিত্তিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হচ্ছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এ সংগঠন শুধু ৩-৪ বছরের জন্য নয়, আজীবন সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করে। সকল সদস্যদের মাঝে সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করছে আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এটি আমাদের সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে”।

ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, রাবির আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কখনোই থেমে থাকেনি। ১৯৭৩ এর অ্যাক্টে আইবিএস ফেলোদের সম্মানিত করা হয়েছে। আইবিএস’র গবেষকরা কখনোই পিছু হাঁটেনা, সবসময় সামনে এগিয়ে চলে। নতুন গবেষকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশাও বেশি।আমরা চাই আপনারা দ্রুত এমফিল-পিএইডি শেষ করে দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করুন।

তিনি আরও বলেন, আইবিএস’র একজন ফেলো একজন প্রভাষকের বেসিক স্যালারির সমপরিমাণ স্কলারশিপ পাওয়ার কথা কিন্তু হঠাৎ করে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য আমরা রাবি’র একজন প্রভাষকের বেসিক সেলারির সমপরিমাণ আইবিএস ফেলোদের স্কলারশিপ দেয়ার দাবি করছি।
আইবিএস ফেলোরা বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন বলে জানান তিনি।

এসময় ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও আইবিএস-এর পরিচালক মোস্তফা কামাল, সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিমুল হক, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ; ১৯৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাক্টের ২৬ নং ধারা অনুযায়ী আইবিএস প্রতিষ্ঠিত হয়। আইবিএস-এর অধীনে বর্তমানে ছয় শতাধিক গবেষক এমফিল পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে এমফিল-পিএইচডি গবেষকদের বরণ করে নিল আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো. রাফাসান আলম, রাবি প্রতিনিধি:

২০২৪-২৫ সেশনের পিএইচডি ও এমফিল ফেলোদের সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় আইবিএস’র সেমিনার কক্ষে নতুন ফেলোদের বরণ করে নেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

এসময় ২০২৪-২৫ সেশনের এমফিল ফেলো সৈয়দা জান্নাতুন সায়মা বলেন, “আমরা একটি স্বপ্ন নিয়ে রাবির আইবিএস ভর্তি হয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে রাবির আইবিএস কাজ করে চলেছে, এখানকার গবেষকরা প্রতিনিয়ত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণা করে থাকে। আইবিএস’র শিক্ষকদের শেখানো পন্থা আমাদের পরবর্তী পথ চলাকে আরও সুগম করবে বলে আমি আশাবাদী। আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান-সাবেক ফেলোদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন। এমন আয়োজনের জন্য ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান এ শিক্ষার্থী”।

২০২৪-২৫ সেশনের পিএইচডি গবেষক (শ্রেনি প্রতিনিধি) মো. কামারুজ্জামান বলেন, “শিক্ষার্থীদের মাঝে বুদ্ধিভিত্তিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে অরাজনৈতিক একটি সংগঠন হচ্ছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এ সংগঠন শুধু ৩-৪ বছরের জন্য নয়, আজীবন সেতুবন্ধন হয়ে কাজ করে। সকল সদস্যদের মাঝে সংযোগ সেতু হিসাবে কাজ করছে আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। এটি আমাদের সামাজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করবে”।

ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, রাবির আইবিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কখনোই থেমে থাকেনি। ১৯৭৩ এর অ্যাক্টে আইবিএস ফেলোদের সম্মানিত করা হয়েছে। আইবিএস’র গবেষকরা কখনোই পিছু হাঁটেনা, সবসময় সামনে এগিয়ে চলে। নতুন গবেষকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশাও বেশি।আমরা চাই আপনারা দ্রুত এমফিল-পিএইডি শেষ করে দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করুন।

তিনি আরও বলেন, আইবিএস’র একজন ফেলো একজন প্রভাষকের বেসিক স্যালারির সমপরিমাণ স্কলারশিপ পাওয়ার কথা কিন্তু হঠাৎ করে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য আমরা রাবি’র একজন প্রভাষকের বেসিক সেলারির সমপরিমাণ আইবিএস ফেলোদের স্কলারশিপ দেয়ার দাবি করছি।
আইবিএস ফেলোরা বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন বলে জানান তিনি।

এসময় ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ফয়জার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক ও আইবিএস-এর পরিচালক মোস্তফা কামাল, সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজিমুল হক, অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ; ১৯৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাক্টের ২৬ নং ধারা অনুযায়ী আইবিএস প্রতিষ্ঠিত হয়। আইবিএস-এর অধীনে বর্তমানে ছয় শতাধিক গবেষক এমফিল পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

এমএস