ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

বাবার জমিজমার বিরোধে ছেলেকে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের নড়িয়াতে বাবার জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাহিম জমাদার (১৮) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জমাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জমাদার কান্দি এলাকার সোহরাব জমাদারের সাথে স্থানীয় জাকির মুন্সির বিরোধ। সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে জাকির মুন্সির ভাতিজা রাকেশ মুন্সি, সাব্বির মুন্সিসহ বেশ কয়েকজন যুবক সোহরাব জমাদারের ছেলে ফাহিম জমাদারকে ডেকে নিয়ে একটি ক্লাবে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে লোহার রড দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ফাহিম।

ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি খেলার মাঠ থেকে ফিরছিলাম। রাকেশ মুন্সি, সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়ে ক্লাবে আটকে রেখে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে খুব পেটায়। আমি এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

ফাহিমের বাবা সোহরাব জমাদার বলেন, জাকির মুন্সির লোকজন আমাদের জমিজমা জোর করে দখল নিয়েছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে এভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনায় বিষয়ে জানতে রাকেশ মুন্সির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

বাবার জমিজমার বিরোধে ছেলেকে ডেকে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

আপডেট সময় : ০৭:২০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের নড়িয়াতে বাবার জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাহিম জমাদার (১৮) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের জমাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জমাদার কান্দি এলাকার সোহরাব জমাদারের সাথে স্থানীয় জাকির মুন্সির বিরোধ। সেই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে জাকির মুন্সির ভাতিজা রাকেশ মুন্সি, সাব্বির মুন্সিসহ বেশ কয়েকজন যুবক সোহরাব জমাদারের ছেলে ফাহিম জমাদারকে ডেকে নিয়ে একটি ক্লাবে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে লোহার রড দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ফাহিম।

ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার অভিযোগ করে বলেন, আমি খেলার মাঠ থেকে ফিরছিলাম। রাকেশ মুন্সি, সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়ে ক্লাবে আটকে রেখে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে খুব পেটায়। আমি এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

ফাহিমের বাবা সোহরাব জমাদার বলেন, জাকির মুন্সির লোকজন আমাদের জমিজমা জোর করে দখল নিয়েছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে এভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনায় বিষয়ে জানতে রাকেশ মুন্সির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এমএস