ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতে এইচ এম পিভি ভাইরাস শনাক্ত ,আক্রান্ত ২ নাটোরে রাতের বেলা বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে চুরি – নথিপত্র লুট চোখের আলো ফেরাতে মার্কিন নাগরিকের উদ্যোগ শীতকালে তুলসির মিশ্রণ খাওয়ার যত উপকার, সারবে সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ ৯ ব্যাংকে বড় নিয়োগ, সিনিয়র অফিসারের পদ ১,৫৫৪ স্নাতক পাসে ওয়ান ব্যাংক পিএলসিতে চাকরি, নিয়োগ নেবে ৫০ জন টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিজবুল্লাহ ‘সব চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত’, নতুন প্রধানকে হুঁশিয়ারি দিল ইসরাইল নেতানিয়াহুর জন্য হুমকি এরদোয়ানের রমজানে ঢাকার ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হবে ডিম-মুরগি ও কৃষিজাতপণ্য

নাটোরে বিক্রেতার দেয়া কীটনাশক প্রয়োগে ৩শ বিঘা জমির রসুন বিনষ্ট

নাটোরের বড়াইগ্রামে কীটনাশক ও বালাইনাশক বিক্রেতার ভুল ঔষধ প্রদানে কৃষকের ৩০০ বিঘা জমির সাদা সোনা খ্যাত রসুন পুরে বিনষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের আওতাধীন বাগডোব ও রয়না ব্লকে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর প্রায় সবগুলো রসুন গাছ পুড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের জন্য আহাজারি করছে। তাদের অভিযোগ রসুনের জমিতে আগাছা গজালে তারা বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের লেউতি মোড়ের মিন্টুর সারের দোকানে যায়। মিন্টুর কাছে আগাছা দমনের জন্য ঔষধ চাইলে মিন্টু লাইসেন্সবিহীন এম এস এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের অর্কিড-৭০ ডাব্লিউ জি নামের একটি আগাছা নাশক দেন। এবং বলেন এটি প্রয়োগে আগাছা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং রসুনের কোন ক্ষতি হবে না। কৃষকরা বিশ্বাস করে উক্ত ঔষধ তাদের জমিতে স্প্রে করলে সমস্ত রসুনের গাছ পুড়ে বিনষ্ট হয়ে যায়।

অভিযুক্ত মিন্টু খাকসা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং লেউতির মোড়ে মিন্টু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। এ ব্যাপারে মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে মিন্টু সাংবাদিকের কাছে বিক্রির কথা স্বীকার করেন। সাংবাদিক তার দোকানে সেই ঔষধ প্রত্যক্ষ করেন । অভিযুক্ত মিন্টু বলেন এই আগাছা নাশক আমি থানার মোড়ের আকরামের দোকান থেকে পাইকারি কিনে এনেছি।

ওষুধটির গুণাগুণ সম্পর্কে না জেনে আপনি বিক্রি করলেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্টু সাংবাদিকের উপরে চড়াও হন এবং এলাকার কিছু নেতাকর্মীকে ডেকে এনে সাংবাদিকের উপরে আক্রমণ করেন । তবে মিন্টু বলেছেন 300 বিঘা হবে না দেড় ২০০ বিঘার মত হবে। এ সময় তার দোকানের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি সহ বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সাংবাদিকের সাথে কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কথা হয়। তারা জানান আমরা গরীব মানুষ ধার দেনা করে জমি লিজ নিয়ে রসুনের চাষ করেছি। আশা করেছিলাম রসুন বিক্রি করে ধার দেনা শোধ করব। কিন্তু মিন্টুর দেওয়া ঔষধের কারণে আমাদের রসুন পুড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে। আমরা পথে বসতে শুরু করেছি। এখন যদি আমরা ক্ষতিপূরণ না পাই মরণ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। আমরা এর যথাযথ ক্ষতিপূরণ চাই এবং কর্তৃপক্ষের নিকট মিন্টুর শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে কয়েকদিন গিয়েও কৃষি অফিসার কে পাওয়া যায়নি। পরে উক্ত ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার হযরত আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি কৃষি অফিসারের অনুমতি ছাড়া মোবাইলে কথা বলতে অ স্বীকৃতি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস কে জানালে উনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে এইচ এম পিভি ভাইরাস শনাক্ত ,আক্রান্ত ২

নাটোরে বিক্রেতার দেয়া কীটনাশক প্রয়োগে ৩শ বিঘা জমির রসুন বিনষ্ট

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামে কীটনাশক ও বালাইনাশক বিক্রেতার ভুল ঔষধ প্রদানে কৃষকের ৩০০ বিঘা জমির সাদা সোনা খ্যাত রসুন পুরে বিনষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের আওতাধীন বাগডোব ও রয়না ব্লকে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর প্রায় সবগুলো রসুন গাছ পুড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ক্ষতিপূরণের জন্য আহাজারি করছে। তাদের অভিযোগ রসুনের জমিতে আগাছা গজালে তারা বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের লেউতি মোড়ের মিন্টুর সারের দোকানে যায়। মিন্টুর কাছে আগাছা দমনের জন্য ঔষধ চাইলে মিন্টু লাইসেন্সবিহীন এম এস এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের অর্কিড-৭০ ডাব্লিউ জি নামের একটি আগাছা নাশক দেন। এবং বলেন এটি প্রয়োগে আগাছা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং রসুনের কোন ক্ষতি হবে না। কৃষকরা বিশ্বাস করে উক্ত ঔষধ তাদের জমিতে স্প্রে করলে সমস্ত রসুনের গাছ পুড়ে বিনষ্ট হয়ে যায়।

অভিযুক্ত মিন্টু খাকসা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং লেউতির মোড়ে মিন্টু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। এ ব্যাপারে মিন্টুর কাছে জানতে চাইলে মিন্টু সাংবাদিকের কাছে বিক্রির কথা স্বীকার করেন। সাংবাদিক তার দোকানে সেই ঔষধ প্রত্যক্ষ করেন । অভিযুক্ত মিন্টু বলেন এই আগাছা নাশক আমি থানার মোড়ের আকরামের দোকান থেকে পাইকারি কিনে এনেছি।

ওষুধটির গুণাগুণ সম্পর্কে না জেনে আপনি বিক্রি করলেন কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্টু সাংবাদিকের উপরে চড়াও হন এবং এলাকার কিছু নেতাকর্মীকে ডেকে এনে সাংবাদিকের উপরে আক্রমণ করেন । তবে মিন্টু বলেছেন 300 বিঘা হবে না দেড় ২০০ বিঘার মত হবে। এ সময় তার দোকানের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি সহ বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সাংবাদিকের সাথে কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের কথা হয়। তারা জানান আমরা গরীব মানুষ ধার দেনা করে জমি লিজ নিয়ে রসুনের চাষ করেছি। আশা করেছিলাম রসুন বিক্রি করে ধার দেনা শোধ করব। কিন্তু মিন্টুর দেওয়া ঔষধের কারণে আমাদের রসুন পুড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে। আমরা পথে বসতে শুরু করেছি। এখন যদি আমরা ক্ষতিপূরণ না পাই মরণ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। আমরা এর যথাযথ ক্ষতিপূরণ চাই এবং কর্তৃপক্ষের নিকট মিন্টুর শাস্তি দাবী করছি।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে কয়েকদিন গিয়েও কৃষি অফিসার কে পাওয়া যায়নি। পরে উক্ত ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার হযরত আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি কৃষি অফিসারের অনুমতি ছাড়া মোবাইলে কথা বলতে অ স্বীকৃতি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস কে জানালে উনি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।