ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্কুইড গেম টু’ সিরিজ নিয়ে তোলপাড় সারাবিশ্ব, আসছে নতুন সিক্যুয়েল শীতের দিন শরীর উষ্ণ রাখে, যে তিন পুষ্টিকর খাবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অটো রিক্সার নিচে চাপা পড়ে ৮বছরের শিশু নিহত ওলমোর নিবন্ধন নিয়ে জটিলতায় বার্সেলোনা, অসন্তুষ্ট বার্সা কোচ ঝিনাইদহে মটরসাইকেলে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল গড়িয়ে পড়ে রাস্তায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানে না ভোট কী : মির্জা ফখরুল এবার নাচ-গান হাসি-ঠাট্টা আর মূর্খের সংসদ হবে না: ডা. শফিকুর রহমান বিষ প্রয়োগে বাশার আল-আসাদকে হত্যাচেষ্টা করে রাশিয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ২ ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি

নতুন মামলার মুখে ট্রাম্প

ছবিঃ সংগৃহীত

অভিবাসন নীতি নিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগত নাগরিকত্ব বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেন তিনি।

রোববার মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসনবিরোধী নীতি আদালতে আটকে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন টং।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ব্যক্তিদের স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্বের সংবিধানসম্মত অধিকারকে আঘাত করবে। এটি অনেকের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন, এই প্রস্তাব সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সরাসরি লঙ্ঘন এবং অভিবাসীদের অধিকার হরণ করবে। এই আইনি লড়াইয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তার নিজের পরিবার অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল।

তিনি মনে করেন, এই আইন তাদের মতো অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাধা তৈরি করবে। টং বলেছেন, আমাদের সংবিধান সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং আমি এটি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ট্রাম্প তার প্রচারণার সময় ঘোষণা করেছিলেন, তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই তিনি জন্মগত নাগরিকত্ব বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নেবেন। সে সময়ই টং প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘আমি প্রথম মামলা দায়ের করব।’ এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়েছিল।

৫১ বছর বয়সি ইউলিয়াম একজন ডেমোক্র্যাট। ২০১৯ সাল থেকে কানেকটিকাটের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চীন ও তাইওয়ান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের সন্তান। তিনি তাদের পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, তিনি কানেকটিকাট রাজ্যব্যাপী নির্বাচিত প্রথম এশীয় আমেরিকান।

এক সাক্ষাৎকারে ইউলিয়াম বলেছেন, আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাজ করে বড় হয়েছি। এক প্রজন্মের মধ্যেই সেই রেস্টুরেন্টের রান্নাঘর থেকে কানেকটিকাটের অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার যাত্রা সম্ভব হয়েছে। জন্মগত নাগরিকত্বের বিষয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের বেশির ভাগই মনে করেন, সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন বা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এখানের বিচারব্যবস্থার অধীনে রয়েছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

‘স্কুইড গেম টু’ সিরিজ নিয়ে তোলপাড় সারাবিশ্ব, আসছে নতুন সিক্যুয়েল

নতুন মামলার মুখে ট্রাম্প

আপডেট সময় : ১০:১৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

অভিবাসন নীতি নিয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং। ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগত নাগরিকত্ব বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেন তিনি।

রোববার মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসনবিরোধী নীতি আদালতে আটকে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন টং।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা ব্যক্তিদের স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্বের সংবিধানসম্মত অধিকারকে আঘাত করবে। এটি অনেকের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মনে করেন, এই প্রস্তাব সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর সরাসরি লঙ্ঘন এবং অভিবাসীদের অধিকার হরণ করবে। এই আইনি লড়াইয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তার নিজের পরিবার অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল।

তিনি মনে করেন, এই আইন তাদের মতো অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাধা তৈরি করবে। টং বলেছেন, আমাদের সংবিধান সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং আমি এটি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ট্রাম্প তার প্রচারণার সময় ঘোষণা করেছিলেন, তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই তিনি জন্মগত নাগরিকত্ব বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নেবেন। সে সময়ই টং প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘আমি প্রথম মামলা দায়ের করব।’ এই পদক্ষেপটি ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়েছিল।

৫১ বছর বয়সি ইউলিয়াম একজন ডেমোক্র্যাট। ২০১৯ সাল থেকে কানেকটিকাটের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চীন ও তাইওয়ান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের সন্তান। তিনি তাদের পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, তিনি কানেকটিকাট রাজ্যব্যাপী নির্বাচিত প্রথম এশীয় আমেরিকান।

এক সাক্ষাৎকারে ইউলিয়াম বলেছেন, আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কাজ করে বড় হয়েছি। এক প্রজন্মের মধ্যেই সেই রেস্টুরেন্টের রান্নাঘর থেকে কানেকটিকাটের অ্যাটর্নি জেনারেল হওয়ার যাত্রা সম্ভব হয়েছে। জন্মগত নাগরিকত্বের বিষয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের বেশির ভাগই মনে করেন, সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন বা নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এখানের বিচারব্যবস্থার অধীনে রয়েছেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

কেকে