রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত। তবে সেটা তখনই হবে, যদি তারা রাশিয়ার স্বার্থের ক্ষতি না করে।
রোববার ভিজিটিআরকে সাংবাদিক পাবেল জারুবিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সবটাই ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তাই আমরা কখনোই এই ইচ্ছা পরিত্যাগ করিনি’।
পুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সবকিছুই পরিবর্তিত হয়। কেবল ‘রাশিয়া এবং এর জনগণের স্বার্থ’ই অপরিবর্তিত থাকে।
রুশ নেতা বলেন, যদি আমরা দেখি যে পরিস্থিতি এমনভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, যাতে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে- তাহলে আমরা তার জন্য প্রস্তুত। এটি আমাদের প্রশ্ন নয়, বরং তাদের প্রশ্ন। তবে এটি হতে হবে রাশিয়ান ফেডারেশনের স্বার্থের কোনো ক্ষতি না করে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিবর্তন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পুতিন উনিশ এবং বিংশ শতকের কিছু উদাহরণ উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন ১৮৫৩-১৮৫৬ সালের ক্রিমিয়া যুদ্ধের কথা। যখন রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
অনেকেই তখন লিখেছিলেন যে, রাশিয়া নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং বিশ্বে ঘটে চলা অন্যায়ের প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এ বিষয়ে পুতিন আরও বলেন, তখন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গোরচাকভ একটি চিঠি পাঠান, যার মধ্যে লেখা ছিল- ‘রাশিয়া ক্রুদ্ধ নয়। রাশিয়া কেন্দ্রীভূত হচ্ছে’।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ধীরে ধীরে রাশিয়া যখন কেন্দ্রীভূত হচ্ছিল, কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলেও সমস্ত অধিকার ফিরে পেয়েছিল এবং শক্তিশালী হতে শুরু করেছিল’।
পুতিন আরও বলেন, কিছু ঐতিহাসিক ক্রিমিয়া যুদ্ধকে ‘শূন্য বিশ্বযুদ্ধ’ হিসেবেও বর্ণনা করেছিলেন। কারণ প্রায় সব ইউরোপীয় শক্তি এই যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় এবং সেই দেশগুলোই বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার মিত্র হয়ে ওঠে।
‘সব কিছুই পরিবর্তিত হয় এবং কেবল স্বার্থই অপরিবর্তিত থাকে’- এই বলে সাক্ষাৎকার শেষ করেন রুশ নেতা।
সূত্র: তাস ও মেহের নিউজ এজেন্সি
কেকে