নাটোরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির করতে গিয়ে নাহিদুল ইসলাম নাহিদ নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় এশিয়ান টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার লেংগুড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় জড়িত থাকায় আরও চার ভুয়া সাংবাদিক নাছিমুর ইসলাম নাসিম, তানিয়া খাতুন, সোহেল হাসান, আবুল বাশারের নামে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত ভুয়া সাংবাদিক সহ এই চক্রের বেশ কয়েকজন জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিক পরিচয়সহ বিভিন্ন পরিচয়ে চাঁদাবাজি করেন। সম্প্রতি সদর উপজেলার চাঁদপুর ও লেংগুড়িয়া এলাকায় দুই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যায়িত করে চক্রটি। পরে তাদের টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। রবিবার লেংগুড়িয়া এলাকায় সেই টাকা আনতে গেলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী ওই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ গ্রেপ্তার করে তার ব্যবহৃত এশিয়ান টেলিভিশনের লোগো সম্বলিত মোটরসাইকেল জব্দ করে।
লেংগুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আকলিমা খাতুন বলেন, তারা এসে বলে আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া।এটার রিপোর্ট তারা তৈরি করলে ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন রিপোর্ট বন্ধ করতে হলে টাকা দিতে হবে ৫০ হাজার। এতো টাকা কিভাবে দিব বললে ১০ হাজার টাকা চায়। পরে আমি আমার ছাগল বিক্রি করে ৯ হাজার টাকা দিবো বলে জানাই। সেই টাকা নিতে এসেছে আজ। আমাকে এমন ভয় দেখিয়েছে যে সেই টাকা দিতে আমি বাধ্য হয়ে শখের ছাগল বিক্রি করি। পরে শুনি যে আমার মত অনেকের কাছেই তারা এভাবে টাকা চেয়েছে। আমি এদের শাস্তির দাবি জানাই।
সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। মামলায় আরও চার ভুয়া সাংবাদিকে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণও মিলেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। এসব প্রতারকদের ধরিয়ে দিতে পেশাদার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম/এমএস