ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্ট এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ল। সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।

সামরিক আইন জারি এবং জনগণের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করার পর অভিশংসনের মুখে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আনা প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিল খারিজ হয়ে গেছে। এরপরও নানামুখী চাপে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এবার তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রোববার জনসাধারণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পিপিপি নেতা হান দং হুন বলেন, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট থাকলেও তিনি দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের কোনো কাজে যুক্ত হবেন না। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সো সরকারি কার্যক্রমগুলো সামলাবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা দেশের নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, এখন দেশের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সে বিষয়টি যথেষ্ট সুস্পষ্ট নয়।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টই সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে আছেন। এর মানে, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো সম্ভাব্য হুমকিসহ পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত যে কোনো ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ইউন নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দ্য কোরিয়া হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিয়ংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শিন ইউল বলেন, প্রেসিডেন্ট যদি তার চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনেন, তবে তিনি আবারও নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

ইউন জোরালোভাবে বললে কেউই তাকে থামাতে পারবেন না। সামরিক আইন জারির পর গত শনিবার প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হন ইউন। সামরিক আইন জারির কারণে মানুষকে যে উদ্বেগ ও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তার জন্য তিনি ক্ষমা চান। আর কোনো সামরিক আইন জারি করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি। তবে বিরোধীরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হতে চাচ্ছেন না। ফলে তারা ইউনকে অভিশংসনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ১০:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্ট এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ল। সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।

সামরিক আইন জারি এবং জনগণের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করার পর অভিশংসনের মুখে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আনা প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিল খারিজ হয়ে গেছে। এরপরও নানামুখী চাপে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এবার তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

রোববার জনসাধারণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পিপিপি নেতা হান দং হুন বলেন, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট থাকলেও তিনি দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের কোনো কাজে যুক্ত হবেন না। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সো সরকারি কার্যক্রমগুলো সামলাবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা দেশের নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, এখন দেশের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সে বিষয়টি যথেষ্ট সুস্পষ্ট নয়।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টই সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে আছেন। এর মানে, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো সম্ভাব্য হুমকিসহ পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত যে কোনো ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ইউন নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দ্য কোরিয়া হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিয়ংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শিন ইউল বলেন, প্রেসিডেন্ট যদি তার চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনেন, তবে তিনি আবারও নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

ইউন জোরালোভাবে বললে কেউই তাকে থামাতে পারবেন না। সামরিক আইন জারির পর গত শনিবার প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হন ইউন। সামরিক আইন জারির কারণে মানুষকে যে উদ্বেগ ও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল, তার জন্য তিনি ক্ষমা চান। আর কোনো সামরিক আইন জারি করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি। তবে বিরোধীরা তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হতে চাচ্ছেন না। ফলে তারা ইউনকে অভিশংসনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

কেকে