ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

পেটের চর্বি কমানোর উপায় কী?

ছবিঃ সংগৃহীত

আপনি নিয়মমতো হাঁটলেই গলবে পেটের চর্বি। আর হাঁটা হচ্ছে— মানসিক চাপ কমানোর জন্য একটি চমৎকার উপায়। চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা পেটের মেদ বাড়ায়। 

আর হাঁটা ক্যালোরি বার্ন করার একটি সহজ উপায়। সকালে হাঁটার সময় শরীরে জমা ক্যালোরি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যত বেশি হাঁটবেন, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং পেটের মেদ কমবে— এমনটিই জানিয়েছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা।

নিয়মিত হাঁটার ফলে মেটাবলিজমের উন্নতি হয়। হাঁটা বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ শরীরকে কাজের মধ্যে রাখে, যার ফলে শরীর এমন সময়ও ক্যালোরি বার্ন করে, যখন আপনি সক্রিয়ভাবে চলাফেরা করছেন না। উচ্চ মেটাবলিজম মানে বেশি ক্যালোরি বার্ন হওয়া, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়ক।

নিয়মিত হাঁটলে কর্টিসল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়। হাঁটার ফলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তের গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ফ্যাট জমার সম্ভাবনা কমায়। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে এবং পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

তবে হাঁটার কিছু পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করলে তাড়াতাড়ি পেটের মেদ ঝরবে। কী সেই পদ্ধতি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. দ্রুতগতিতে হাঁটুন

ক্যালোরি বার্ন বাড়াতে দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে গতি বাড়ানো ও কমানোর মাধ্যমে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যায়।

২. সময়ের পরিমাণ বাড়ান

প্রথমে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার লক্ষ্য রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। হাঁটার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান, কাঁধ পেছনে রাখুন এবং পেটের পেশি সক্রিয় রাখুন।

৩. ওজন যুক্ত করুন

হাঁটার সময় ওজন ব্যবহার করুন। এর ফলে পেশিগুলো আরও সক্রিয় হয় এবং ক্যালোরি বার্ন বাড়ায়। ফল, শাকসবজি ও সম্পূর্ণ শস্যভিত্তিক খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন। আর নিয়মিত হাঁটা পেটের মেদ কমানোর জন্য একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। এটি শুধু ওজন কমায় না, বরং মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে আরও স্বাস্থ্যবান রাখে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

পেটের চর্বি কমানোর উপায় কী?

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আপনি নিয়মমতো হাঁটলেই গলবে পেটের চর্বি। আর হাঁটা হচ্ছে— মানসিক চাপ কমানোর জন্য একটি চমৎকার উপায়। চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা পেটের মেদ বাড়ায়। 

আর হাঁটা ক্যালোরি বার্ন করার একটি সহজ উপায়। সকালে হাঁটার সময় শরীরে জমা ক্যালোরি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। যত বেশি হাঁটবেন, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং পেটের মেদ কমবে— এমনটিই জানিয়েছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা।

নিয়মিত হাঁটার ফলে মেটাবলিজমের উন্নতি হয়। হাঁটা বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ শরীরকে কাজের মধ্যে রাখে, যার ফলে শরীর এমন সময়ও ক্যালোরি বার্ন করে, যখন আপনি সক্রিয়ভাবে চলাফেরা করছেন না। উচ্চ মেটাবলিজম মানে বেশি ক্যালোরি বার্ন হওয়া, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়ক।

নিয়মিত হাঁটলে কর্টিসল নিয়ন্ত্রণ হয় এবং মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া সহজ হয়। হাঁটার ফলে শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তের গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ফ্যাট জমার সম্ভাবনা কমায়। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে এবং পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

তবে হাঁটার কিছু পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করলে তাড়াতাড়ি পেটের মেদ ঝরবে। কী সেই পদ্ধতি, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. দ্রুতগতিতে হাঁটুন

ক্যালোরি বার্ন বাড়াতে দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে গতি বাড়ানো ও কমানোর মাধ্যমে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যায়।

২. সময়ের পরিমাণ বাড়ান

প্রথমে ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার লক্ষ্য রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। হাঁটার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান, কাঁধ পেছনে রাখুন এবং পেটের পেশি সক্রিয় রাখুন।

৩. ওজন যুক্ত করুন

হাঁটার সময় ওজন ব্যবহার করুন। এর ফলে পেশিগুলো আরও সক্রিয় হয় এবং ক্যালোরি বার্ন বাড়ায়। ফল, শাকসবজি ও সম্পূর্ণ শস্যভিত্তিক খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলুন। আর নিয়মিত হাঁটা পেটের মেদ কমানোর জন্য একটি সহজ ও কার্যকর উপায়। এটি শুধু ওজন কমায় না, বরং মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে আরও স্বাস্থ্যবান রাখে।

কেকে