ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আলবেনিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শর্ত দিলেন পুতিন কনসার্টের মঞ্চে হাসিনার বিচার দাবি, ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সারজিস আলমের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা লালপুরে স্কুলের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে ওয়ার্ড বিএনপি’র কার্যালয় লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু

ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘন মামলা

ছবিঃ সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডার পাঁচটি সংবাদমাধ্যম। তারা অভিযোগ করেছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিটি তাদের পণ্য উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কপিরাইট লঙ্ঘন করছে এবং অনলাইন টার্মস অব ইউজ ভঙ্গ করছে।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মামলাটি লেখক, ভিজ্যুয়াল শিল্পী, সংগীত প্রকাশক এবং অন্য কপিরাইট মালিকদের তরফে জেনারেটিভ এআই সিস্টেম প্রশিক্ষণের ডেটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর ধারাবাহিকতা। ওপেনআইয়ে বিনিয়োগ থাকা মাইক্রোসফটও এই অভিযোগে অভিযুক্ত।

টরস্টার, পোস্টমিডিয়া, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল, দ্য কানাডিয়ান প্রেস এবং সিবিস/রেডিও-কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআই অনুমতি ছাড়া এবং কনটেন্ট মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাদের কনটেন্ট ব্যবহার করেছে।

তারা জানিয়েছেন, ‘সাংবাদিকতা জনস্বার্থে করা হয়। ওপেনএআই অন্য কোম্পানির সাংবাদিকতা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। এটি অবৈধ।’ তারা আদালতে দায়ের করা মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে এবং ওপেনএআইকে তাদের কনটেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।

এ বিষয়ে ওপেনএআই দাবি করেছে, তাদের মডেলগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ডেটা ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত এবং এটি ন্যায্য ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক কপিরাইট নীতিমালার ভিত্তিতে তৈরি। ‘আমরা সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি এবং তাদের কনটেন্ট প্রদর্শনের সময় যথাযথ কৃতজ্ঞতা ও লিংক প্রদান করি। আমরা চাইলে সহজে তাদের কনটেন্ট অপ্ট-আউটের সুযোগও দিচ্ছি’ বলে জানান কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র।

এটি সাংবাদিকতা ও প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের একটি অংশ, যেখানে কপিরাইট এবং এআইয়ের ন্যায্য ব্যবহারের সীমা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রিটিশ আমেরিকান সেন্টারে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘন মামলা

আপডেট সময় : ১২:৫১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডার পাঁচটি সংবাদমাধ্যম। তারা অভিযোগ করেছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিটি তাদের পণ্য উন্নয়নের জন্য নিয়মিত কপিরাইট লঙ্ঘন করছে এবং অনলাইন টার্মস অব ইউজ ভঙ্গ করছে।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মামলাটি লেখক, ভিজ্যুয়াল শিল্পী, সংগীত প্রকাশক এবং অন্য কপিরাইট মালিকদের তরফে জেনারেটিভ এআই সিস্টেম প্রশিক্ষণের ডেটা ব্যবহারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর ধারাবাহিকতা। ওপেনআইয়ে বিনিয়োগ থাকা মাইক্রোসফটও এই অভিযোগে অভিযুক্ত।

টরস্টার, পোস্টমিডিয়া, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল, দ্য কানাডিয়ান প্রেস এবং সিবিস/রেডিও-কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওপেনএআই অনুমতি ছাড়া এবং কনটেন্ট মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাদের কনটেন্ট ব্যবহার করেছে।

তারা জানিয়েছেন, ‘সাংবাদিকতা জনস্বার্থে করা হয়। ওপেনএআই অন্য কোম্পানির সাংবাদিকতা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছে। এটি অবৈধ।’ তারা আদালতে দায়ের করা মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে এবং ওপেনএআইকে তাদের কনটেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহারে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।

এ বিষয়ে ওপেনএআই দাবি করেছে, তাদের মডেলগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ডেটা ব্যবহার করে প্রশিক্ষিত এবং এটি ন্যায্য ব্যবহার ও আন্তর্জাতিক কপিরাইট নীতিমালার ভিত্তিতে তৈরি। ‘আমরা সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি এবং তাদের কনটেন্ট প্রদর্শনের সময় যথাযথ কৃতজ্ঞতা ও লিংক প্রদান করি। আমরা চাইলে সহজে তাদের কনটেন্ট অপ্ট-আউটের সুযোগও দিচ্ছি’ বলে জানান কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র।

এটি সাংবাদিকতা ও প্রযুক্তি শিল্পের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের একটি অংশ, যেখানে কপিরাইট এবং এআইয়ের ন্যায্য ব্যবহারের সীমা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

কেকে