রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীরের মহাদেবপুর তেলীপাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন নিজ চাচা আশরাফুল আলম সোনার বিরুদ্ধে বিক্রি করা জমি লিখে না দেয়ায় অভিযোগ তুলেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা প্রেসক্লাব রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন জানান, আমার পিতা মৃত আমজাদ হোসেন আমার দুই চাচা মোঃ চান মিয়া ও আশরাফুল আলম সোনার কাছ থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া রতিরামপুর মৌজার মোট ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
পরবর্তীতে আমার ছোট চাচা মোঃ চান মিয়া তার অংশের ৪০ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রী করে দেন। কিন্তু আমার আশরাফুল আলম সোনা চাচা জমি রেজেষ্টারী না করে দিয়ে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন অযুহাত ও টালবাহানা দেখিয়ে দীর্ঘদিন জমি রেজেষ্ট্রীর সময় দিয়েও কথা রাখেননি। জমিটি ক্রয়ের সময় আমার চাচা চান মিয়া, ইলিয়াস মিয়া, ও জমিটি যার কাছে বন্ধক ছিল মোঃ নওশাদ মিয়ার সম্মুক্ষে জমির ক্রয়বাবদ সকল টাকা বুজিয়া দিয়েছিলেন।
ভাতিজা ফরহাদ বলেন, আমার পিতা ২০২১ সালের ২৬ আগষ্ট স্ত্রী ও এক ছেলে এবং তিন মেয়েকে রেখে ইন্তেকাল করেন। ফরহাদ হোসেন জানান, প্রমাণক হিসেবে আমার পিতা আমজাদ হোসেনের সাথে চাচা আশরাফুল আলম সোনার উক্ত জমির বিষয়ে দুটি ৭৫ টাকার স্ট্যাম্প লিখিত চুক্তিপত্র আছে। স্ট্যাম্প নং- ছ ০২৯২৩২২ ও ছ ০২৯২৩২৩। জমির বিবরণ রতিরামপুর মৌজার জে এল নং- ৮, সাবেক খতিয়ান নং-১০৮১ হাল খতিয়ান ৪৭৬,৫৩৭ সাবেক দাগ নং ২০৬৮,৩০৬০,৩০৬৩,৩০৬৪ জমির ২.৮৬ একরের মধ্যে ৩৭ শতক।
উল্লেখিত স্ট্যাম্পে আমার চাচা মোঃ আশরাফুল আলম সোনা’র স্বাক্ষর করা। আমার চাচা মোঃ আশরাফুল আলম সোনা তার বাস্তভিটা ও পত্রিক সম্পত্তি সকল অংশবিক্রি করার পর রংপুর শহরে বসবাস করেন। সেখান থেকে আমার বাবার বিক্রয় করা জমিটি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক ভাবে বসেও সুষ্ঠ সমাধান হয়নি।
এর আগে রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ করা হলে থানা কর্তৃক তদন্তকালে বিষয়টির সত্যতা পেয়ে পারিবারিক ভাবে সমাধানের কথা বলেন। তিনি তা তোয়াক্কা না করে জমিটি লিখে দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। আমার সকল তথ্য ও স্বাক্ষী থাকা সত্ত্বেও জমিটি রেজেষ্টারী করে না দিয়ে নানা পায়তারা করছে। আমি এ বিষয়ে সুষ্ঠ বিচার চাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরহাদ হোসেন মা ফেরদৌসী বেগম, বড় বোন আনজুমান আরা, মেঝ বোন সুলতানা রাজিয়া ও ছোট বোন এসপি বেগম।
মোঃ মশিউর রহমান ইসাদ/এমএস