ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এআই এখন হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি শনাক্ত করবে

ছবিঃ সংগৃহীত

হৃদরোগের কতখানি ঝুঁকিতে রয়েছেন আপনি? কতদিন পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া-তার ইঙ্গিত দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত একটি ক্যালকুলেটর। একটি বিশেষ এআই টুল ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে একটি গবেষণায়। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

গবেষণায় জানানো হয়েছে, এআইয়ের সাহায্য নিয়ে হওয়া ইসিজির সাহায্যে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি মাপা যাবে। যদিও এই পরিকাঠামো এখনো প্রতিদিনের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এই প্রযুক্তির নাম এআই-ইসিজি রিস্ক ইস্টিমেটর (এআইআরই)। এর আগে এআই-ইসিজি‘র যে যে সুবিধা পাওয়া যেত না, নতুন এই টুলে সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।

যেভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি?

গবেষকরা জানিয়েছেন, এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৯ জন রোগীর ১.১৬ মিলিয়ন ইসিজির রিপোর্টের তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে এআইআরই টুলকে শেখানো হয়েছে।

গবেষকরা দাবি করেছেন, এই প্রযুক্তি অন্তত ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভবিষ্য়তে হতে চলা হার্ট রিদম সংক্রান্ত সমস্যা বুঝতে পারছে। অন্যদিকে ১০টির মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রেই ধমনী সরু হয়ে রক্ত চলাচল সংক্রান্ত সমস্যা আগেভাগে বুঝতে পারছে। এই টুলকে ইতিমধ্যেই এআই ডেথ ক্যালকুলেটর বলেও ডাকা হচ্ছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ডাক্তারের চোখেও যে বিপদের আশঙ্কা এড়িয়ে যেতে পারে, এই এআইআরই সেটাও বুঝে সতর্ক করতে পারবে। হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্য়া বা ঝুঁকির কথা আগেভাগে জানতে পারলে তা ঠেকানো অনেক সহজ হবে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুইটি হাসপাতালে ট্রায়াল চলবে এআইআরই-এর। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে এটি।

গবেষকরা মনে করছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই টুল সার্বিকভাবে ব্যবহার করা হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য-এর ইম্পেরিয়াল কলেজ হেলথ কেয়ারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ফু সিয়ং বলেছেন, ‘হাসপাতালে যত রোগীর ইসিজি হবে তাদের সবাইকে এই মডেলের মধ্যে ফেলাই লক্ষ্য রয়েছে। এর ফলে ঝুঁকির পুরোটা আমাদের নজরে আসবে। আমরা রোগ আটকানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারব।’

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

এআই এখন হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি শনাক্ত করবে

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

হৃদরোগের কতখানি ঝুঁকিতে রয়েছেন আপনি? কতদিন পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া-তার ইঙ্গিত দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত একটি ক্যালকুলেটর। একটি বিশেষ এআই টুল ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে একটি গবেষণায়। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

গবেষণায় জানানো হয়েছে, এআইয়ের সাহায্য নিয়ে হওয়া ইসিজির সাহায্যে ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি মাপা যাবে। যদিও এই পরিকাঠামো এখনো প্রতিদিনের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে না।

এই প্রযুক্তির নাম এআই-ইসিজি রিস্ক ইস্টিমেটর (এআইআরই)। এর আগে এআই-ইসিজি‘র যে যে সুবিধা পাওয়া যেত না, নতুন এই টুলে সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।

যেভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি?

গবেষকরা জানিয়েছেন, এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৯ জন রোগীর ১.১৬ মিলিয়ন ইসিজির রিপোর্টের তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে এআইআরই টুলকে শেখানো হয়েছে।

গবেষকরা দাবি করেছেন, এই প্রযুক্তি অন্তত ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ভবিষ্য়তে হতে চলা হার্ট রিদম সংক্রান্ত সমস্যা বুঝতে পারছে। অন্যদিকে ১০টির মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রেই ধমনী সরু হয়ে রক্ত চলাচল সংক্রান্ত সমস্যা আগেভাগে বুঝতে পারছে। এই টুলকে ইতিমধ্যেই এআই ডেথ ক্যালকুলেটর বলেও ডাকা হচ্ছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ডাক্তারের চোখেও যে বিপদের আশঙ্কা এড়িয়ে যেতে পারে, এই এআইআরই সেটাও বুঝে সতর্ক করতে পারবে। হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্য়া বা ঝুঁকির কথা আগেভাগে জানতে পারলে তা ঠেকানো অনেক সহজ হবে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুইটি হাসপাতালে ট্রায়াল চলবে এআইআরই-এর। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে এটি।

গবেষকরা মনে করছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই টুল সার্বিকভাবে ব্যবহার করা হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য-এর ইম্পেরিয়াল কলেজ হেলথ কেয়ারের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ফু সিয়ং বলেছেন, ‘হাসপাতালে যত রোগীর ইসিজি হবে তাদের সবাইকে এই মডেলের মধ্যে ফেলাই লক্ষ্য রয়েছে। এর ফলে ঝুঁকির পুরোটা আমাদের নজরে আসবে। আমরা রোগ আটকানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারব।’